গাড়িটি প্রতি সপ্তাহের রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুর-১২ থেকে যাত্রা শুরু করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে এবং বিকেল পৌনে চারটার দিকে জবি থেকে ছেড়ে মিরপুর-১২তে পৌঁছায়।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ‘অনির্বাণ’ নামের ওই দ্বিতল বাস থেকে লোহার রড গুলো জব্দ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরে হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশের কয়েকজনকে নিয়ে অনির্বাণ বাসটিতে তল্লাশি চালায়। পরে বাসটির সিঁড়ির পেছনের দিকে একটি কর্ণারে এবং ড্রাইভারের সিটের পাশ থেকে পঁচিশটি লোহার রড খুঁজে পান। প্রতিটি রড লম্বায় প্রায় দুই হাতের বেশি বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
লোহার রডগুলো খুঁজে পাওয়ার পর বাসটির চালকসহ কয়েকজনকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসে তলব করা হয়।
এ বিষয়ে অনির্বাণ বাসের চালক আবু তাহের বাংলানিউজকে বলেন, ‘কে বা কারা এই রডগুলো রেখেছে আমি এর কিছুই জানি না। দুপুরের পর হঠাৎ পুলিশ আর প্রক্টরিয়াল বডি গাড়ি তল্লাশি করেছে। আমি তখনও গাড়ির কাছে ছিলাম না। পরে গাড়ির কাছে আসলে, পাশের কয়েকজন লোক আমাকে প্রক্টর অফিসে তলব করা হয়েছে বলে জানায়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অনির্বাণ বাসটিতে তল্লাশি চালানো হয় বলে বাংলানিউজকে জানান জবির সহকারী প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল।
তিনি আরো বলেন, আমি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একজন এসআই ও কয়েকজনকে সাথে নিয়ে গাড়িটিতে (অনির্বাণ) তল্লাশি চালাই । পরে বাসটি থেকে ২৫টি লোহার রড জব্দ করি। কিন্তু কে বা কারা রেখেছে এ বিষয়ে আমরা কিছু জানতে পারি নি।
কোনরকম নাশকতা করতে রডগুলো রাখা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তদন্ত করছি। বাসের চালকসহ কয়েকজনকে তলব করেছি। তদন্ত শেষে বলতে পারবো কে, কোন উদ্দেশ্যে এগুলো বাসে রাখা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) জানে-আলম মুন্সী বাংলানিউজকে জানান, লোহার রড জব্দ করেছে নাকি অন্য কিছু জব্দ করেছে তা আমরা শিউর বলতে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মদ আমার কাছে পুলিশ ফোর্স চেয়েছিলেন, আমি ফোর্স পাঠিয়েছিলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
ডিআর/আরআই