ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মাসেতু প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
পদ্মাসেতু প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন শুরু বাংলাদেশ রেলওয়ের পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের (পিবিআরএলপি) জন্য অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের পুনর্বাসন শুরু হয়েছে।

শরীয়তপুর: বাংলাদেশ রেলওয়ের পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের (পিবিআরএলপি) জন্য অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের পুনর্বাসন শুরু হয়েছে। 

সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পদ্মাসেতু এলাকা সংলগ্ন নাওডোবা হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।  

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট (সিএসসি) ও বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ডর্প ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

 

পিবিআরএলপি’র প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএসসি’র প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ।  
অনুষ্ঠানে প্রকল্পের চিফ রিসেটেলমেন্ট কর্মকর্তা এএম সালাউদ্দিন, ডর্প এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এএইচএম নোমান এবং ক্ষতিগ্রস্ত মো. বাবুল মোল্যা বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন বলেন, আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে দারিদ্র্য। এই দারিদ্র্য বিমোচন করতে হলে আমাদের অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে। আর অবকাঠামোর উন্নয়ন তখনই করা সম্ভব, যখন আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে সক্ষম হবো। আমাদের দেশ ঘনবসতিপূর্ণ। যেখানেই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে যাবেন সেখানেই ভূমির প্রয়োজন হয়। আমাদের দেশের অধিকাংশ ভূমিই হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানাধীন। তাই আমাদের জমি অধিগ্রহণ করতে হয়, এছাড়া আমাদের উন্নত প্রযুক্তির অভাব রয়েছে। এজন্যই আমাদের নির্মাণ ব্যয় ও জটিলতা অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশি। ভূমি অধিগ্রহণের ফলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হন তাদের ক্ষতি বহুলাংশে থেকে যায়। আমরা জমির যে ক্ষতিপূরণ দেই, সেটা প্রকৃত ক্ষতিপূরণ নয়। সেজন্যই আমরা যদি সরকারি কোষাগার থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু আর্থিক অনুদান দিতে পারি, তাহলে কিছুটা হলেও তাদের কষ্ট লাঘব হয়। এ উদ্দেশেই আমরা পুনর্বাসন কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।

তিনি বলেন, পদ্মাসেতু প্রকল্প ও রেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন সরকারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার ভিত্তিক একটি প্রকল্প। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটবে না। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির সঙ্গে দেশের উন্নতি জড়িত। যারা জমি হারিয়েছেন তাদের এ ত্যাগ জাতি কখনো ভুলবে না। এর সুবিধা ভোগ করবে আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।  

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রথম ধাপের ৮২.৩৫ কিলোমিটার রেলপথে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫৪৮ পরিবার রয়েছে। প্রকল্পটিতে ৩৫৮.৪১ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে। ডর্প প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা জরিপ, জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত নগদ ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তিতে সহায়তা, বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রদত্ত পুনর্বাসন সুবিধা হস্তান্তর, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন  এবং দুস্থ ও দরিদ্রদের জীবিকায়ন পুনস্থাপন প্রশিক্ষণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।  

উল্লেখ্য, প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তরা ১৯৮২ সালের ভূমি অধিগ্রহণ আইনের আওতায় জেলা প্রশাসক থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।