হরতাল সফল করতে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে সাহেব বাজার এলাকায় মিছিল ও পথসভা করতে দেখা গেছে বামদলের নেতাকর্মীদের।
সকালে সাহেব বাজার থেকে একটি মিছিল বের করেন বামদলের নেতারা।
পরে অনুষ্ঠিত পথসভায় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ও গণসংহতি আন্দোলন রাজশাহী জেলা সমন্বয়কারী মুরাদ মোর্শেদ, বাসদ-কনভেনশন প্রগতি কমিটির জেলা আহ্বায়ক আতিকুর রহমান আতিক, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের জেলা সংগঠক আসাদুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সদস্য আহসান হাবীব রকিসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
বাম নেতারা বলেন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির আঘাত নিম্নবিত্ত ও গরিব মানুষের ব্যয় আরও বাড়িয়ে দেবে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কম আয়ের মানুষ। বিদ্যুতের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িভাড়াসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে। মুনাফা করবে এক শ্রেণীর লুটেরা ব্যবসায়ী, আর ব্যয় বহন করতে হবে সাধারণ জনগণকে। জনগণের ওপর এ ধরনের চরম আঘাত মেনে নেওয়া যায় না।
তবে হরতালের মধ্যেও যানবাহন চলাচল রয়েছে স্বাভাবিক। রাজশাহী থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গেছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে খোলা।
তবে নিউমার্কেট এলাকায় অফিসগামী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুস মালেক বলেন, এ মুহূর্তে বিদুতের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক। এখন এই অজুহাতে বাড়ি ভাড়াসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে। ফলে আমাদের সংসারের খরচ টানতে অনেক কষ্ট হয়ে যাবে।
ওই এলাকার দোকান কর্মচারী বিনয় কুমার বলেন, বাজারে এমনিতেই সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এর ওপর বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে আরেক দফা সব পণ্যের দাম বাড়বে। দ্রব্যমূল্যের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে আমরা খেটে খাওয়া মানুষ বিপদে পড়বো।
হরতালে রাজশাহীর জনজীবনে কোনো প্রভাব না পড়লেও কর্মসূচি কেন্দ্র করে যাতে কোনো অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে জন্য বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর মেলেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
এসএস/এএ