ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে দক্ষ জনবল কাজে লাগানোর দাবি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৭
খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে দক্ষ জনবল কাজে লাগানোর দাবি মানববন্ধন-ছবি-শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ভেজাল নিয়ন্ত্রণে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক পদে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্যানিটারি ইন্সপেক্টরকে পরিদর্শন কাজে লাগানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্বাধীনতা সেনিটারিয়ান পরিষদ-(স্বাসেপ)।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনের সভাপতি এ এফ জুনায়েদ আহমদের সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।  

মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির।

বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় ২০১৩ সালে দেশে নিরাপদ খাদ্য আইন পাস হয়েছে। এই আইন পাস হওয়ার পর বর্তমানে খাদ্যে ভেজাল ও খাদ্য মাধ্যমে সৃষ্ট রোগ প্রতিরোধে এককভাবে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ  (বিএফএসএ)। কিন্তু বিএফএসএ’র দায়িত্ব গ্রহণের পরে গত ৩ বছরে, খাদ্যে ভেজাল কয়েক গুণ বেড়েছে। এর কারণ প্রথমত: দেশে ২৫ লাখ খাদ্য উৎপাদন ও বিপনণের দোকান পরিদর্শনবিহীন রয়েছে। এ কাজের জন্য ১৯৭৩ সালে যে জনবল ছিল বর্তমানেও একই জনবল রয়েছে। দ্বিতীয়ত: বিএফএসএ’র দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রজ্ঞাপন জারি করে কর্মরত জনবলের পরিমাণ না বাড়িয়ে কমিয়েছে। ৬৭ সালের বিশুদ্ধ খাদ্যবিধি লঙ্ঘন করে কর্মরত ৬০০ সেনিটারি পরিদর্শকের মধ্যে ১৪৩ জনকে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকের দায়িত্ব দিয়েছে। বাকিদের অকেজো করে রাখা হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, ভেজালের কারণে দেশে খাদ্য মাধ্যমে সৃষ্ট রোগী বাড়ছে। ক্যানসার, কিডনি, ডায়াবেটিকস রোগসহ নানা ধরণের মারাত্বক রোগে অসুস্থ হচ্ছে জাতি। দেশে মাঠ পর্যায়ে খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণের জন্য ২৫ লাখ খাদ্য স্থাপনা পরিদর্শন ও তদারকির আওতাধীন করার জন্য ২ হাজার ২শ’ প্রশিক্ষিত জনবল রয়েছে। শুধু বিএফএসএ’র অদক্ষতা, উভয় কর্তৃপক্ষ সৃষ্ট আমলাতান্ত্রিক প্রতিবন্ধকতা ও আমলাতন্ত্রের জনবিমুখ মানসিকতার কারণে খাদ্যভেজাল ও খাদ্য মাধ্যমে সৃষ্ট-রোগের প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সরকারও প্রতি বছর সম্ভাব্য ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার প্রিমিসেস-ফির আয় বঞ্চিত হচ্ছে। এই অবস্থা সৃষ্টির পেছনে খাদ্যে ভেজালকারী, চিকিৎসা সেবা বাণিজ্যের সুবিধাভোগী শ্রেণির কালো হাত থাকতে পারে।

বক্তারা দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য একজন করে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক নিয়োগের দাবি জানান।  

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন-সংগঠনের উপদেষ্টা এম. খছরু চৌধুরী, রাজনৈতিক নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স ও রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব এনামুল হক মোল্লা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৭ 
এমএইচ/আরআর
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।