ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কর্মী নিয়োগে পাথরঘাটায় ২ কোটি টাকা ঘুষ-অনিয়মের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৭
কর্মী নিয়োগে পাথরঘাটায় ২ কোটি টাকা ঘুষ-অনিয়মের অভিযোগ

বরগুনা: কর্মী নিয়োগে পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপন ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিজলী বালা মিত্রের বিরুদ্ধে প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা ঘুষ ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে চাকরি বঞ্চিতদের পক্ষে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফাইজুর রহমান ফিরোজ সাংবাদিক সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ৬ নভেম্বর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ইউনিট ভিত্তিক ৬১জন পেইড ভলান্টিয়ার (স্বেচ্ছাসেবক) পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর।

এ জন্য চার সদস্যের একটি নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়।  

নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা হলেন- আহ্বায়ক পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম রিপন, সদস্য সচিব পাথরঘাটা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিজলী বালা মিত্র, সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. মাসুমুল হক। পরে নিয়োগ বোর্ড ২২ ও ২৩ নভেম্বর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা নেয়।

লিখিত অভিযোগে যুবলীগ নেতা আরও উল্লেখ করেন, নিয়োগের শর্ত অমান্য করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া, দুই সন্তানের অধিক সন্তান থাকা, ৩০ বছরের বেশি বয়সী ও একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে ঘুষের বিনিময় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা ঘুষ লেনদেন করেছেন।

এসময় চাকরি বঞ্চিত শামসুন্নাহার, শিমু, তানজিলা, পারভিন ও মুনমুন বাংলানিউজকে জানান, যোগ্যতা থাকা সত্বেও তাদের চাকরি হয়নি। অধিক বয়স হওয়া সত্বেও বিধি বহির্ভূতভাবে ঘুষের বিনিময়ে আসমা, শিউলী ও শারমিনসহ আরো কয়েকজনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।

নিয়োগ বোর্ডের আহ্বায়ক ও পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন বাংলানিউজকে জানান, পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের থেকে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি বা টাকা লেনদেন হয়নি।

নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিজলী বালা মিত্র বাংলানিউজকে জানান, নিয়োগে কোনো অনিয়ম বা আর্থিক লেনদেন হয়নি। তার বিরুদ্ধে এ রকম কোনো প্রমাণ দেখাতে পারলে তিনি শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য হবেন।

তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। ঢাকা অফিসে বাছাইকৃতদের তালিকা পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৭
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।