ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বায়ুদূষণ রোধে বাপার ১২ দফা দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৭
বায়ুদূষণ রোধে বাপার ১২ দফা দাবি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বাপা নেতারা ; ছবি- কাশেম হারুন

ঢাকা: বায়ুদূষণ থেকে সারা দেশের মানুষকে মুক্তি দেয়ার জন্য ১২ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। 

সোমবার (ডিসেম্বর ০৪) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুল মতিন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বায়ুদূষণে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের মানুষ। রাজধানী ঢাকা, বিভাগীয় শহর থেকে শুরু করে সব জায়গার মানুষই এখন বায়ুদূষণের কবলে। রাস্তায় বের হলেই গাড়ির কালো ধোঁয়া আর ধুলোবালির ঝাপটায় পড়তে হয়। শিশু, নারী,বৃদ্ধ অসুস্থ মানুষের শহরের জীবন আজ চরম কষ্টদায়ক। আপনারা জানেন বিগত দুই দশক ধরে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে ফুসফুস তথা শ্বাসনালীর রোগে। এর জন্য দায়ী ধোঁয়া ও ধুলাজনিত প্রদাহ। বিশেষ করে শ্বাসনালীর প্রদাহজনিত সকল রোগ যেমন, ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়ার শিকার হয়ে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। এসব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ১২ দাবি পেশ করেন আব্দুল মতিন।  

দাবিগুলো হলো-

১. মেয়াদোত্তীর্ণ সকল সিএনজি অটোরিক্সা ও মোটর যানবাহনকে আর কোনো সময় প্রদান নয়, অবিলম্বে তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে এবং রাস্তায় সম্পূর্ণ নতুন ইঞ্জিন, সিট, বডির অটোরিক্সা, ট্রাক ও বাস চালু করতে হবে।

২. ১৫ বছর বা তার বেশি পুরোনো সকল মোটর যানবাহন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। রিকন্ডিশন প্রাইভেট গাড়ি, মাইক্রোবাস, ছোট-বড় ট্রাক আমদানি নির্দিষ্ট ও সংক্ষিপ্ত সময় ভিত্তিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বন্ধ করতে হবে।

৩. রেলগাড়ি, ভাল মানের বড় বাস নৌযানসহ গণপরিবহন বৃদ্ধি করতে হবে।

৪. যানবাহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও প্রশাসনকে নির্মোহ, দুর্নীতিমুক্ত ও পরিবেশ সচেতন করতে হবে।

৫. ভোর ৬টার মধ্যে শহরের সকল রকম ঝাড়ু কার্য শেষ করতে হবে। একই সময়ের মধ্যে ময়লাবাহী ট্রাকগুলোকে ময়লা নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে।

৬. অপরিকল্পিত, অপচয়মূলক, সমন্বয়হীন ও কষ্টদায়ক রাস্তা কাটার কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। এলাকাভিত্তিক সকল সরকারি উন্নয়ন ও মেরামত কাজ সমন্বিতভাবে একই সাথে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

৭. সেকেলে পদ্ধতির সমস্ত ইটভাটা বন্ধ করে হাইব্রিড হফম্যান বা জিগজ্যাগ পদ্ধতির ইটভাটা চালু করতে হবে।

৮. কাঠ পোড়ানো ও যত্রতত্র গাছকাটা বন্ধ করতে হবে। বাসা বাড়ির রান্না ঘরে লাকড়ির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তাদের জন্য সৌরবিদ্যুৎসহ বিকল্প জ্বালানির ব্যবস্থা করতে হবে।

৯. নিম্নমানের কয়লা আমদানি বন্ধ করতে হবে। দেশব্যাপী সকল কাজেই সৌর ও বিকল্প টেকসই জালানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

১০. ধূমপান হ্রাস করণে বিস্তৃত ও কার্যকর কর্মসূচি চালু করতে হবে। প্রচার বৃদ্ধি ও প্রকাশ্যে ধূমপান নিরোধক আইন আরো কঠোর ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

১১. দেশব্যাপী দেশি গাছ লাগানোর কার্যক্রম আরো জোরদার করতে হবে এবং এজন্য নিয়মিত প্রচার চালাতে হবে।

১২. রাষ্ট্রপরিচালনা ও রাজনীতিতে পরিবেশ চেতনার অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বায়ুদূষণে জাতীয় পরিকল্পনা করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৭
এমএইচ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।