ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৯৭ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকের চিঠি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৭
৯৭ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকের চিঠি

ঢাকা: রাজধানীর স্বনামধন্য আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৯৭ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  

সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, রোববার রাজধানীর ৯৭ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠিতে স্বাক্ষর করেন দুদক চেয়ারম্যান।

এরপর সোমবার চিঠিটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। যেসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে তারা কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত।

যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জড়িত, এদের মধ্যে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭ জন, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২ জন, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৬ জন শিক্ষক, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৪ জন, রাজউক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫ জন, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৪ জন, খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ জন এবং ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের ৮ জন শিক্ষক রয়েছেন।

এদিকে সরকার কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে। সেই নীতিমালায় একজন শিক্ষককে তার প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের ১০জন শিক্ষার্থী পড়ানোর সুযোগ রাখা হয়। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে শুধু অভিভাবকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান প্রধান অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ে মেট্রোপলিটন শহরে মাসিক ৩০০ টাকা, জেলা শহরে ২০০ টাকা এবং উপজেলা বা স্থানীয় পর্যায়ে ১৫০ টাকা করে রসিদের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া যাবে বলে নিয়ম করা হয়। তবে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান নিজ বিবেচনায় এই ফি ‘র হার কমাতে বা মওকুফ করতে পারবেন।  

নীতিমালায় আরও বলা হয়, একটি বিষয়ে মাসে সর্বনিম্ন ১২টি ক্লাস হতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে প্রতিটি ক্লাসে সর্বোচ্চ ৪০জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই টাকা প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিয়ন্ত্রণে একটি আলাদা তহবিলে জমা থাকবে।

প্রতিষ্ঠানের পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সহায়ক কর্মচারীর ব্যয় বাবদ ১০শতাংশ টাকা কেটে রেখে বাকি টাকা অতিরিক্ত ক্লাসে নিয়োজিত শিক্ষকদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। কিন্তু সেই নীতিমালা হলেও কোনো শিক্ষকের তোয়াক্কায় করেননি। বরং নীতিমালার তোয়াক্কা না করে কোচিং বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছেন শিক্ষকরা।

এজন্য চলতি বছরের এপ্রিলে কোচিং বাণিজ্যে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক।  দীর্ঘ ৪ মাসের অনুসন্ধান শেষে আগস্টে এসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে দুদকের অনুসন্ধান কমিটি। অবশেষে কমিশনের পক্ষ থেকে কোচিং বাণিজ্যে জড়িত এসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিলো দুদক।

**বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক
**সাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮৮ শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যে জড়িত
**কোচিংবাজ শিক্ষক ধরতে মাঠে নেমেছে দুদক

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৭
এসজে/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।