ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানসহ ২৮ দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৭
শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানসহ ২৮ দাবি সংবাদ সম্মেলনে দাকিনামা তুলে ধরেন জাতীয় বধির ঐক্য পরিষদের নেতারা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী জনগণের কর্মসংস্থান ও মানবিক অধিকার আদায়ে ২৮ দফা দাবি জানিয়েছে জাতীয় বধির ঐক্য পরিষদ।

সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

সংগঠনের সহ সভাপতি আরিফুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

ইশারা ভাষায় সে বক্তব্য তুলে ধরেন সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মাসুদুর রশীদ।

সংবাদ সম্মেলনে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থার সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে এলাহি খান।

লিখিত বক্তব্যে আরিফুল বলেন,  অন্য প্রতিবন্ধীরা সরকারের কাজের সুফল পেলেও শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীরা শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান, চাকরি ও আবাসন থেকে বঞ্চিত। সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত শিক্ষা ও চাকরি থেকে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ৭টি জেলায় সরকারিভাবে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে পড়ালেখার সুযোগ আছে। আর এসএসসি পর্যন্ত শুধু ঢাকায় বধির হাইস্কুল রয়েছে। এছাড়া আর কোনো স্কুল-কলেজ নেই।

তিনি বলেন, শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীরা যোগ্যতা থাকা সত্বেও সরকারি চাকরি পান না। শারিরীক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সরকারি চাকরি বেশি হচ্ছে। বেসরকারিভাবেও শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের চাকরির সুযোগ কম।

তিনি বলেন, ‘শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের যদি কর্মসংস্থান দেওয়া হয়, কিন্তু কর্মের পরিবেশ সৃষ্টি না হয়, তাহলে তার চাকরি করার সুযোগ থাকে না। তাই আমরা সরকারের কাছে কতোগুলো সুপারিশ পেশ করছি’।
 
দাবিমালার মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হলো- প্রতি উপজেলায় শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোতে যথাযথ পাঠদানের জন্য বাংলা ইশারা ভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ পাঠদান কর্মসূচি চালু, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি উন্নয়ন অধিদফতরে শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য আলাদা বিভাগ স্থাপন এবং সমাজসেবা অধিদফতরের আওতাধীন দেশে বিদ্যমান ৭টি শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা। এসব বিদ্যালয়ের আবাসিকসহ সব ব্যবস্থা সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালনা করবে, তবে শিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে করার দাবিও জানায় সংগঠনটি।

অন্য দাবিগুলো মধ্যে রয়েছে- কারিগরি প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান, কম্পিউটার, ডিজিটাল ফোনের সঙ্গে ফ্যাক্স মেশিন, ফোনের সঙ্গে আলো জ্বলে ওঠার ব্যবস্থা যা কল আসার সংকেত দেয়, শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের দুই কানে ব্যবহারযোগ্য ইয়ার ফোন, টিভি ও রেডিও শুনতে অ্যাডাপটেশানের মাধ্যমে শব্দের উচ্চতা বাড়ায়- এমন হেয়ারিং ব্যবহারের ব্যবস্থা করা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৭
এমএইচ/ এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।