সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) দিনভর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অপহরণ চক্রের চার সদস্য হলেন- খন্দকার মাহফুজ আলম মুন (২৬), খন্দকার সুমন (২৭), রেখা বেগম (২৫) এবং আবু তালেব সরদার (৪৫)।
এর মধ্যে মুন, রেখা ও সুমনের বাড়ি ফরিদপুর শহরে। আর অপহরণকারী তালেবের বাড়ি পাবনা জেলার সুজানগরে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২ ডিসেম্বর (শনিবার) সকালে নগরকান্দা নিজ বাড়ি থেকে চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে সামসুল হককে তুলে নিয়ে যায় মুন ও সুমনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন।
পরে সামসুলের মোবাইল ফোন থেকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে কল করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় অপহৃতের পরিবার ওইদিনই ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। একই সঙ্গে অপহৃত সামসুলকে উদ্ধারের জন্য র্যাবের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।
র্যাব ফরিদপুরের ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন জানান, অভিযানে প্রথমে মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে অপহরণ চক্রের দুই সদস্য খন্দকার মুন ও সুমনকে আটক করা হয়।
পরে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অপহৃত সামসুলকে শহরের আলীপুর এলাকায় একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই বাসা থেকে অপহরণ চক্রের সদস্য আবু তালেব সরদার ও রেখা বেগমকে আটক করেন র্যাব সদস্যরা।
এদিকে অপহৃত সামসুল হক মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে রেখার সঙ্গে নগ্ন ছবি ধারণ করা হয়েছে ক্যামেরায়। তাকে মারধর করেছে অপহরণকারীরা।
এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে আটকদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭
আরকেবি/এমএ/