ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উচ্ছ্বাসে তৌফা, নীরবতায় তোহুরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৭
উচ্ছ্বাসে তৌফা, নীরবতায় তোহুরা মা-ভাইয়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে উচ্ছ্বসিত তৌফা, বিছানায় শুয়ে নীরব তোহুরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: তৌফা এখন বসতে শিখেছে, হামাগুড়ি দেয়, চিৎকার করে, মায়ের সঙ্গে খেলে। তবে তহুরা থাকে চুপচাপ-নীরব। তৌফা সারাদিন হাসি-খুশি থাকে, হাত উঁচু করে বাইরে নিয়ে যেতে ইশারা করে  আর তহুরা বিছানায় শুয়ে শুয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা হওয়া গাইবান্ধার তৌফা-তোহুরা হাসপাতালের পুরনো ভবনের কেবিনে চিকিৎসাধীন।

গত আগস্টে আলাদা করার পর সেপ্টেম্বরে বাড়ি ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল তৌফা-তহুরাকে।

তবে অক্টোবরে অসুস্থ হওয়ায় ফের নিয়ে আসা হলে গত দু’মাস ধরে চিকিৎসা দিছেন ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
 
শনিবার (০৯ ডিসেম্বর)  শিশু দু’টির মা সাহিদা জানান, তৌফা খুবই হাসি-খুশি আর তোহুরা সারাদিন চুপচাপ থাকে। ডাক্তার বলেছেন, তহুরার প্রস্রাবের থলেতে সমস্যা আছে।   তার শরীরে ক্যাথেটার লাগানো আছে, এটি ছাড়া স্বাভাবিকভাবে প্রস্রাব করতে পারে না। অসুস্থতার কারণেই সারাদিন নিশ্চুপ থাকে তোহুরা।
 
তিনি জানান, দু’জনকেই স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি বুকের দুধ খাওয়ানো হচ্ছে।

সাহিদা বলেন, ‘বিকেলে তৌফা-তহুরাকে কোলে নিয়ে কেবিনের বারান্দায় ঘুরতে যাই। কোলে থাকা অবস্থায় তৌফা খুবই আনন্দ করলেও তহুরা নিশ্চুপ থাকে’।

ভাইয়ের কোলে হাসি-খুশি তৌফা।  ছবি: বাংলানিউজঢামেক হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শাহনূর ইসলাম জানান, জন্মগতভাবে প্রস্রাবের থলেতে সমস্যা ছিল তৌফা-তহুরার, থলেতে প্রস্রাব জমে থাকতো। ফলে তাদের কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। আস্তে আস্তে তৌফার সমস্যা কেটে গেলেও তহুরার রয়ে গেছে। বেশ কয়েক বছর ধরে তহুরাকে ক্যাথেটার দিয়ে থলেতে জমে থাকা প্রস্রাব বের করে আনতে হবে।

গত ০১ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে দুই বোনকে আলাদা করেন চিকিৎসকরা। গত ১০ সেপ্টেম্বর তাদেরকে অ্যাম্বুলেন্সে করে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাঁশদহ গ্রামে নানার বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়ি ফেরার প্রায় একমাস পর অসুস্থ হলে ফের ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে শিশু তোফা-তহুরাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭
এজেডএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।