ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চালু হচ্ছে ১৩টি টেক্সটাইল মিল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
চালু হচ্ছে ১৩টি টেক্সটাইল মিল চালু হচ্ছে ১৩টি টেক্সটাইল মিল

ঢাকা: দেশের বিভিন্নস্থানে দীর্ঘদিন ধরে অকেজো এবং জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা ১৩টি টেক্সটাইল ও কটন মিলস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে পনেরো হাজার দুইশ কোটি টাকা। 

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) নিয়ন্ত্রণে থাকা এসব মিলের পুরাতন এবং অকেজো যন্ত্রপাতি অপসারণ করে আধুনিক স্থাপনা ও নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য সরকারের সঙ্গে অংশীদার হিসেবে থাকবে বেসরকারি উদ্যোক্তারাও।

এসব মিলের পরিত্যাক্ত জমি রয়েছে প্রায় ৪শ’ একর।

সরকারি জরিপে এসব জমির দাম ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫শ’ ৯২ কোটি টাকা। নতুন করে এসব মিল চালু করার জন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ করতে হবে সম্পূর্ণ অর্থ‌। সরকার বা বিটিএমসির বিনিয়োগ হিসেবে থাকবে শুধু জমি।

প্রকল্প বাস্তবায়ন, রক্ষণাবেক্ষণ, উৎপাদিত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, বাজারজাত করার দায়িত্বও থাকবে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের হাতে। লভ্যাংশ ভাগ করা হবে আলোচনার মাধ্যমে শেয়ার বন্টন নির্ধারণের পর। প্রাথমিক ভাবে বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে ৩০ বছরের জন্য চুক্তি করা হবে। পরবর্তীতে টেন্ডারের মাধ্যমে বেসরকারি উদ্যোক্তা অথবা বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে।

মানসম্মত সূতা ও কাপড় তৈরি, টেক্সটাইল খাতে উন্নতির মাধ্যমে জাতীয় উৎপাদনে অবদান রাখা, দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে বস্ত্র খাতের উন্নয়ন,  দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য বিনিয়োগ যোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি, আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার উদ্দেশে সরকার বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণে এসব মিল প্রতিষ্ঠা করেন।

পরবর্তীতে মিল সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম, দুর্নীতি লোকসান ও অন্য কারণে বিভিন্ন সময় এসব মিল বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় এসব মিলের যন্ত্রাংশগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।

২০১৪ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে বন্ধ থাকা টেক্সটাইল ও কটন মিলগুলো আবারও চালু করার নির্দেশনা দেন। তারই আলোকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এসব মিল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।

জানা গেছে, দিনাজপুরের জলিল টেক্সটাইল মিল ও দিনাজপুর টেক্সটাইল মিলের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা। নীলফামারীর দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলের জন্যও বরাদ্দ ২ হাজার কোটি টাকা।

এছাড়াও চট্টগ্রামের আমিন টেক্সটাইল মিল, দি এশিয়াটিক কটন মিল, রাঙ্গামাটি টেক্সটাইল মিল, রাজশাহী টেক্সাটাইল মিল, সুন্দরবন টেক্সটাইল মিল, ফেনীর দোস্ত টেক্সটাইল মিলের প্রতিটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার দুইশ কোটি টাকা।

ছয়শ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে চট্টগ্রামের আর আর টেক্সটাইল মিল, মাগুরা টেক্সাটাইল মিল, যশোরের বেঙ্গল টেক্সটাইল মিল এবং সাভারের আফসার কটন মিলের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে দুইশ কোটি টাক‍া।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম সাংবাদিকদের বলেন, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের পরই কাজ শুরু করবো। আমরা ইতিমধ্যে তিনটি মিল টেন্ডারেরর জন্য সবকিছু ঠিকঠাক করে রেখেছি। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এসই/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।