ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নতুন বছরে শাহজালালে যুক্ত হচ্ছে ডগ স্কোয়াড

শেখ জাহিদুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
নতুন বছরে শাহজালালে যুক্ত হচ্ছে ডগ স্কোয়াড শাহজালাল বিমানবন্দরে ডগ স্কোয়াড- ফাইল ফটো

ঢাকা: নতুন বছর ২০১৮ এর শুরুতেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাদক, বিস্ফোরক ও চোরচালানি রোধে যুক্ত হচ্ছে ডগ স্কোয়াড। আর এতে শাহজালালে নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা যোগ হবে।কেননা বিশ্বের নামকরা সব এয়ারপোর্টের নিরাপত্তায় রয়েছে ডগ স্কোয়াড। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো শাহজালাল বিমানবন্দর এমনটাই অভিমত সংশ্লিষ্ঠদের।

জানা গেছে, চলতি বছরের ২ নভেম্বর অপরাধ দমন ও অপরাধী শনাক্তে  ডগ স্কোয়াডের জন্য ৮টি কুকুর ইংল্যান্ড থেকে আনা হয়েছে। এরমধ্যে ৪টি কুকুর ঢাকা মেট্রোপলিটনে নিয়েছে।

আর বাকী ৪টি এপিবিএন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।  

এপিবিএন যে চারটি কুকুর পেলো তার মধ্যে দুটো জার্মান প্রজাতির ডিজেল এবং বো। আর ল্যাবরেডর  প্রজাতির কোরি এবং রক। কুকুরগুলোর বয়স ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে। শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য আনা কুকুরগুলোকে বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

পাশাপাশি দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সেজন্যও দেখভাল করা হচ্ছে। এজন্য  এপিবিএন’র ১৫ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কুকুর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে এপিবিএন’র এক কর্মকর্তা ইংল্যান্ড থেকে কুকুর পরিচালনায় প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। এছাড়া বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় খুব শিগগিরই আরও এক প্রজাতির কুকুর আনা হবে।

আরো্ জানা গেছে, বিমানবন্দরে মাদক, বিস্ফোরক, আর্সম উদ্বারে কুকরগুলোকে ব্যবহার করা হবে। শাহজালাল বিমানবন্দরে বিশেষ করে আমদানি ও রফতানি কার্গো এরিয়া এবং আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ব্যাগেজ এরিয়াতে কুকরগুলোর কর্মক্ষেত্র হবে।  সংশ্লিষ্ঠরা বলছেন, এপিবিএন’র বহরে কুকরগুলো যুক্ত হলে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় যুক্ত হবে নতুন মাত্রা। বর্তমানে বিমানবন্দরে তিন শিফটে প্রায় ১১শ এপিবিএন কাজ করছে। পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় যুক্ত ‍রয়েছেন।

শুধু তাই নয়, শাহজালালে যেকোনো দুর্ঘটনায় বিজিবি, ৠাব, ডিএমপি’র ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশনের কাজ করা হতো। এখন এয়ারপোর্ট এপিবিএন এর নিজস্ব ডগ স্কোয়াড হওয়ায় যেকোনো দুর্ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে ডগ স্কোয়াড কাজ করতে পারবে।  


হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাদকদ্রব্য, বিস্ফোরক ও বিভিন্ন চোরাচালানি রোধে গত একবছর আগে এয়ারপোর্টে দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ডগ স্কোয়াডের জন্য আবেদন করেছিলো। অনেক জল্পনার ‍অবসান ঘটিয়ে শাহজালালের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে কুকুরগুলো ‌আমদানি করেছে পুলিশ হেডকোয়াটার্স। শুধু তাই নয়, কুকরগুলো রাখার জন্য সিভিল এভিয়েশন অথরিটি বিমানবন্দরের ভেতরে জায়গারও ব্যবস্থা করেছে। যেখানে অবসর সময়ে কাটবে তাদের।

এদিকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গত বছরের মার্চে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাজ্য। এরপর যুক্তরাজ্যের পরামর্শে শাহজালালের নিরাপত্তার দায়িত্ব পায় ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান রেড লাইন। এরপর চলতি বছরের ১ জুন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশকে হাই রিস্ক দেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে আকাশপথে কার্গো পণ্য পরিবহনে বিধি নিষেধ আরোপ করে।

 
এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট এপিবিএন’র সিইও (কমান্ডিং অফিসার) রাশিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে ডক স্কোয়াডের মাধ্যমে অপরাধ ও অপরাধী শনাক্ত করা হয়। এবার আমরা এই ডক স্কোয়াডের মাধ্যমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চোরাচালান, মাদক ও বিস্ফোরক দ্রব্য অতিসহজে জব্দ করতে সক্ষম হবো। এছাড়া এয়ারপোর্টে দায়িত্বরত কাস্টমস বা সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ চাইলে তারা অনুমতি সাপেক্ষে ডগ স্কোয়াডটি ব্যবহার করতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ‍১৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০,২০১৭
এসজে/বিএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।