বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন।
আসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটো।
১০ নভেম্বর সিলেট-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী বাহুবলের বেদে পল্লীতে সরকারি অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে হামলা করেন তারা মিয়া, সাহেদ ও তাদের অনুসারীরা। হামলায় সংসদ সদস্য কেয়া চৌধুরী আহত হন। পরে ১৮ নভেম্বর রাতে উপজেলার লামাতাসী ইউনিয়নের ১নং (সাধারণ ওয়ার্ড ১, ২ ও ৩) সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য পারভীন আক্তার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. তারা মিয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য আলাউর রহমান সাহেদ এবং জসিম মিয়াসহ অজ্ঞাত ১৪/১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২৬ নভেম্বর জসিম মিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর ৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা থেকে তারা ও সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তাদের কোর্টে সোপর্দ করে রিমান্ড প্রার্থনা করলে আদালত ১০ ডিসেম্বর শুনানির আদেশ দেন। ওইদিন রাত ৭টায় হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তৌহিদুর রহমান তাদের জামিন নামঞ্জুর করে সাত ঘণ্টার রিমান্ড মঞ্জুর এবং প্রয়োজনে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
এনটি