ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট শিগগির

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৮
ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট শিগগির সাত ডিবি সদস্য (ফাইল ছবি)

ঢাকা: কক্সবাজারে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাত সদস্যের বিরুদ্ধে শিগগির চার্জশিট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

একইসঙ্গে তদন্তে যেন কোনো কিছু এড়িয়ে না যায় সে বিষয়ে নজর রাখার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।

তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান শনিবার (৬ জানুয়ারি) বাংলানিউজকে বলেন, ‘আশা করছি তাড়াতাড়িই তদন্তকাজ শেষ হবে।

তারপর আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে। তবে কতদিন লাগবে তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। ’

‘তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে তদন্তে কোনো কিছু যেন বাদ না পড়ে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হচ্ছে। চাঞ্চল্যকর মামলা হওয়ায় আমরা এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি’-যোগ করেন মনিরুজ্জামান।

এ পর্যন্ত তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখনই এই তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন। ’

গত ২৫ অক্টোবর ভোরে ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কে একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে মুক্তিপণের ১৭ লাখ টাকাসহ ডিবির ছয় সদস্যকে আটক করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। গাড়ির গ্লাস ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার পর জড়িত অন্য একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন-এসআই মনিরুজ্জামান (৩৫), এসআই আবুল কালাম আজাদ (৩৯), এএসআই গোলাম মোস্তফা (৩৬), এএসআই ফিরোজ আহমদ (৩৪), এএসআই আলাউদ্দিন (৩২), কনস্টেবল মোস্তফা আজল (৫২) ও কনস্টেবল মো. আল আমিন (২৬)।

এ ঘটনায় ডিবির সাতজনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা করেন সেই ব্যবসায়ী গফুর আলম।   ২৬ অক্টোবর কক্সবাজারের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন অভিযুক্ত সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আটকের পরই তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন জমা দেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সাতজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গত ৩০ অক্টোবর মামলাটির তদন্তভার পায় পিবিআই। তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি সদস্যদের আটকের সময় উপস্থিত সেনাসদস্যদের বক্তব্য নেন। আটকের সময়ের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেন। আসামিদের রিমান্ডে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অভিযুক্ত ডিবি পুলিশের সাত সদস্য এখন কারাগারে রয়েছেন।

এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতর জানায়, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে ফৌজদারি মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তারা এখন জেলে রয়েছেন। ফৌজদারি মামলায় ডিবির সাত সদস্যের দোষ প্রমাণিত হলে সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী তারা চাকরিচ্যুত হবেন। তাদের বিরুদ্ধে আলাদা করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
পিএম/এমআরএম/আরআর/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।