ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ব্যাংকিং সেক্টরের সব ব্যবস্থা ত্রুটিমুক্ত নয়

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
ব্যাংকিং সেক্টরের সব ব্যবস্থা ত্রুটিমুক্ত নয়

সংসদ ভবন থেকে: ব্যাংকিং সেক্টরের ব্যর্থতা সরকারের সকল সফলতা ম্লান করে দিচ্ছে বলে সংসদে সিদ্ধান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন খোদ আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম।

ব্যাংকিং সেক্টরের সমস্ত ব্যবস্থা ত্রুটিমুক্ত নয় বলে স্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে ত্রুটিমুক্ত করতে সরকারের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনিয়ম ও ত্রুটিমুক্তভাবে পরিচালনা করতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রস্তাব করে কার্যপ্রণালী বিধির ১৩৭ বিধিতে একটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব আনেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম।  

তার প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়ে সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছেন ১০ জন। তবে প্রস্তাব উত্থাপনের সময় ৩ জন উপস্থিত ছিলেন না। বাকিরা তাদের সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত সংরক্ষিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার, ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, মনিরুল ইসলাম, নুরজাহান বেগম, উম্মে রাজিয়া কাজল এবং জাতীয় পার্টি মনোনীত সংরক্ষিত সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান।

সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অনেক বড় বড় পদক্ষেপ সরকার নিয়েছে। অনেক উচ্চপদস্থ ব্যাংক কর্মকর্তারা ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পর্যন্ত তাদের বিভিন্ন রকমের শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। আমি স্বীকার করি এখনো সমস্ত ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত নয়। কিন্তু আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি আছে বলে আমি মনে করি না। শুধু চাইলেই একটা জিনিস পাওয়া যায় না। এটাকে কার্যকরী করতে সময় লাগে। এখানে দেখতে হয় যে অনুশাসন বা বিধান আমরা করছি, সেটা যেন প্রয়োগবাদী হয় সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

সিদ্ধান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করে ইসরাফিল আলম বলেন, আর্থিক খাত ও ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ে সবসময় কোনো না কোনো বিতর্কে আমাদের প্রায়ই বিব্রত, বাকরুদ্ধ ও হতাশ হতে হয়। যারা আইন প্রয়োগের দায়িত্বে রয়েছেন তাদের ব্যর্থতার কারণে ব্যাংকিং সেক্টর এই সংকটে প্রতিত হয়েছে, এতে আওয়ামী লীগকেও বিব্রত হতে হচ্ছে। ব্যাংক খাতে এই বিশৃঙ্খলার কারণে দেশের আর্থিক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।  

তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে রাষ্ট্রের সুশাসন ব্যাহত হয়। ব্যাংক থেকে নামে বেনামে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের পরিচালকসহ দায়িত্বপ্রাপ্তরা এর সঙ্গে জড়িত এটা সাদা চোখেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথাযথ ছিল না। অনেক ব্যাংককে হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারকে জোগান দিতে হচ্ছে। এসব টাকা সাধারণ মানুষের ঘাম ঝড়ানো টাকা। সাধারণ মানুষ ব্যাংকে টাকা রেখে পায় না, এই নজির বাংলাদেশে কম ছিল। সরকারের সফলতা ম্লান করে দিচ্ছে ব্যাংকিং সেক্টরের এই ব্যর্থতা। কারা এই টাকা লুটপাট করেছে, কারা এর সঙ্গে জড়িত এদের নাম তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

অপরাধী ধরতে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে পুলিশ

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
এসএম/এসকে /এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।