ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মাসেতুর দ্বিতীয় স্প্যান বসছে দুপুরে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
পদ্মাসেতুর দ্বিতীয় স্প্যান বসছে দুপুরে প্রথম স্প্যানে দৃশ্যমান স্বপ্নের পদ্মাসেতু (ফাইল ফটো)

মুন্সীগঞ্জ: সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের প্রচেষ্টায় স্বপ্নের পদ্মাসেতুর দ্বিতীয় স্প্যান (সুপার স্টাকচার) পিলারের উপর বসবে শনিবার (২৭ জানুয়ারি)। সেতুর ৩৮ ও ৩৯ নং পিলারের উপর বসানো হবে ‘স্প্যান ৭বি’। 

প্রকৌশলীরা শতভাগ আশাবাদী, ধূসর রঙের দ্বিতীয় স্প্যানটি বসানো হলে উত্তাল পদ্মার বুকে গড়ে উঠতে থাকা সেতুর ৩০০ মিটার দৃশ্যমান হবে।  

দুপুরের দিকে ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি বসানো হবে বলে পদ্মাসেতু প্রকল্পের একাধিক প্রকৌশলী বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।

 

গত ২২ জানুয়ারি রাতে সেতুর ৩৫নং পিলার এলাকায় তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেনে স্প্যানটি আনা হয়।  

এদিকে, পদ্মাসেতুর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের প্রধান প্রকৌশলী ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে তিন দিনব্যাপী সরেজমিন সভা চলছে। ১১ সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সভায় পাইল, সুপার স্ট্রাকচার, সাব-স্ট্রাকচারসহ বিভিন্ন ইস্যু আলোচনা হলেও এর এক নম্বর এজেন্ডা ১৪টি পিলারের নকশা চূড়ান্ত করা।  

পদ্মাসেতুর প্রকৌশলীরা বাংলানিউজকে জানান, স্প্যান ওঠানোর জন্য কন্ট্রাকটররা দুপুরকে বেছে নিয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে দুপুরের দিকে স্প্যান বসানোর প্রস্তুতি শুরু হবে। প্রথম স্প্যানটি পিলারের উপর বসে গেলেও দ্বিতীয় স্প্যানটি বসাতে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এসব সমস্যার বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না প্রকৌশলীরা। তাই তারিখ নির্ধারণ করেও পরিবর্তন করা হয়েছে। রওয়ানা দিতেই স্প্যানে ত্রুটি, ঘন কুয়াশা এবং নাব্যতার কারণে এটিকে নিয়ে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।  

একাধিক প্রকৌশলী বলেন, ৩৮ নং পিলারের সঙ্গে ৭বি স্প্যানটিকে স্থায়ী ওয়েল্ডিং করে দেওয়া হবে। এরইমধ্যে লোড বহনের জন্য লিফটিং ফ্রেম তৈরি করা হয়েছে। স্প্যান বসানোর কাজটি একটি ‘মেজর গ্রাউন্ড ওয়ার্ক’, এখানে কিছু প্যারামিটার আছে। প্যারামিটারের সবকিছু পরীক্ষা করে এবং চ্যানেলে যা সমস্যা ছিল তা মোটামুটিভাবে সমাধান করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে স্প্যান বসানো যাবে।  

গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যান বসানোর পর প্রতি মাসেই একটি করে স্প্যান ওঠানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছিলেন পদ্মাসেতুর প্রকৌশলীরা। তবে নানাবিধ জটিলতায় তা আর হয়ে উঠেনি।  

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২ পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

পদ্মাসেতু প্রকল্পের সর্বাধিক অগ্রগতি ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ, আর মূল কাজের অগ্রগতি ৫৬ শতাংশ হয়েছে বলে সম্প্রতি জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
এমআইএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।