ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিযোগিতা থেকে যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৮
প্রতিযোগিতা থেকে যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা রামপুরা ব্রিজের কাছে তীব্র যানজট-ছবি-শাকিল আহমেদ

ঢাকা: রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের গোড়া থেকে মধ্য বাড্ডা পর্যন্ত সড়কে দিনে দিনে যানজট দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। হোক সে ছুটির দিন অথবা অন্য যেকোন দিন, সব সময়ই এখানে যানজট লেগে থাকে।

এদিকে মধ্য বাড্ডায় চলছে ইউলুপ নির্মাণের কাজ। ফলে এই এলাকার সড়ক খানাখন্দে ভরা।

একইভাবে সড়কের এই অংশে উন্নয়ন কাজও চলছে। এতে গাড়ির ধীরগতির কারণেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা।
 
তবে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মালিবাগ, বনশ্রী, হাতিরঝিল, বাড্ডা এলাকা থেকে আসা গাড়িগুলো সড়কের মাঝখানেই আড়াআড়িভাবে রেখে যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছে চালকরা। আর এতে পেছনের গাড়িগুলো আটকে পড়ে সৃষ্টি হচ্ছে গাড়ির দীর্ঘ লাইন। ধীরে ধীরে এই লাইনগুলো তীব্র যানজটে পরিণত হচ্ছে।
 
রামপুরা এলাকার রিকশাচালক মামুন বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন এলাকার যাত্রীর‍া এসে ব্রিজের উপরেই নামে। এখান থেকে বিভিন্ন দিকে যায়। তবে বাস চালকরা একজন আরেকজনের আগে যাওয়ার জন্য গাড়ি আড়াআড়ি করে রেখে যাত্রী নামায়। এভাবে প্রতিবার পেছনে ১০/১৫টি গাড়ি আটকে যায়। একপর্যায়ে গাড়ির জটলা বেধে যায়। পুলিশও কিছু করতে পারে না। আর একবার এই জটলা বাধলে ৭-৮ ঘণ্টা ধরে জ্যাম থাকে।
 
স্থানীয় ব্যবসায়ী কাঞ্চন বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তা খারাপ গাড়ি যেতে পারে না। আবার হাতিরঝিল থেকে প্রতিদিন প্রচুর গাড়ি আসে। এসব গাড়ির চাপও যানজটের জন্য দায়ী। বাড্ডার ইউলুপের কাজ শেষ হলে যানজট অনেক কমে যাবে বলে মনে হয়।

রামপুরা ব্রিজের শেষ মাথায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠা-নামানো করা হচ্ছে-ছবি-শাকিল আহমেদ
কাঞ্চন আরও বলেন, গাড়িগুলোর মধ্যে আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতা সবসময় থাকে। এতে জটলা বাধে। যে যেদিকে পারে গাড়ি ঢুকিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে।  
 
এদিকে রামপুরা ব্রিজের উপরে উঠতেই কাঞ্চনের কথার সত্যতা পাওয়া যায়। সু-প্রভাত পরিবহনের একটি বাস রাস্তার মাঝখানেই আড়াআড়ি রেখে যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছে। এই বাসের সামনে কোনো যানবাহন না থাকলেও পেছনে লম্বা লাইন। এই লাইন ক্লিয়ার হতে না হতেই আবার তুরাগ পরিবহনের আর একটি বাস এসে একইভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে। আবারও আরেকটি লাইন সৃষ্টি হয় পেছনে।  
 
একইভাবে দেখা গেছে, এখানে যাত্রীর বেশি চাপ থাকলেও রাস্তা পারাপারের ফুটওভার ব্রিজ নেই। ফলে কিছুক্ষণ পর পর ১০/১২ জন যাত্রী একসঙ্গে হয়ে চলন্ত গাড়ি থামিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। যানজটের এটাও একটা বড় কারণ বলে মনে করেন সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মনির।
 
সার্বিক বিষয় নিয়ে রামপুরা ট্রাফিক জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ এস এম মুক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তা ভালো থাকলে সব ঠিক। রামপুরা ব্রিজ থেকে যেদিকেই যাবেন রাস্তার অবস্থা ভালো না। পুলিশ গাড়িগুলো যে দ্রুত পার করবে তার উপায় নেই। আবার যাত্রীদের ঝামেলা তো আছেই। তারা গাড়ি থামিয়ে রাস্তা পার হয়।
 
রাস্তার উপর গাড়ি রেখে যাত্রী ওঠা-নামানোর বিষয়ে তিনি বলেন, রাস্তার উপরে গাড়ি না রাখার জন্য আমরা জিরো টলারেন্স দিয়েছি। প্রতিনিয়ত ডাম্পিং, মামলা, জরিমানা হচ্ছেই। তবুও এদের থামানো যাচ্ছে না। যানজট কমাতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮
এসআইজে/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।