ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘অবৈধ উৎস থেকে চ্যারিটেবল ট্রাস্টে অর্থ সংগ্রহ’ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৮
‘অবৈধ উৎস থেকে চ্যারিটেবল ট্রাস্টে অর্থ সংগ্রহ’  আদালতে উপস্থিত খালেদা জিয়া-ছবি-সুমন শেখ

ঢাকা: ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট করেছেন এবং অবৈধ উৎস থেকে ট্রাস্টে অর্থ সংগ্রহ হয়েছে বলে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে অবস্থিত বিশেষ জজ আদালত ৫-এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।  
 
প্রসিকিউশনের আইনজীবী আদালতে বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় এ ট্রাস্ট গঠন করেছেন।

তিনি যেহেতু প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সেহেতু তিনি আর ব্যক্তি নন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি এ ধরনের ব্যক্তিগত ট্রাস্ট গঠন করতে পারেন কিনা? 

সাধারণত ট্রাস্ট গঠনে যে উদ্দেশ থাকে তা ন্যূনতম পালন করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ট্রাস্ট অ্যাক্টের বিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। ট্রাস্ট অ্যাক্ট কেউ লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। সে কারণে আমরা বলছি যে, যদি যুক্তিতর্ক ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অপরাধ প্রমাণিত হয় তাহলে তার (খালেদা জিয়া) সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি।  

‘এছাড়াও তিনি ট্রাস্টির টাকা সংগ্রহ করার সময় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন’।

খালেদা জিয়া তার প্রয়াত স্বামীর নামে নামসর্বস্ব একটি ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন। সেখানে তার দুই সন্তানকে ট্রাস্টি করা হয়েছিলো। প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি নিজে ট্রাস্টি হয়ে এ ফান্ড গঠন করেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ ট্রাস্টে অবৈধ উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ এবং পরিচালনা করা হয়েছে বলেও আদালতকে জানান আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।  

জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে খালেদা
স্বপক্ষে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন খালেদা

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৮
এএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।