সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ১৯৬১ সালের পূর্ব পাকিস্তান অর্ডিন্যান্স ৩৭ ধারা পরিবর্তন-পরিমার্জন করে এ আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। মন্ত্রিসভার অনুশাসন ছিল যেসব আইন ইংরেজি আছে তা বাংলায় রূপান্তিরিত করা। আর যেগুলো সামরিক আইনে হয়েছে সেগুলো নতুনভাবে প্রণয়ণ করা। সে প্রেক্ষাপটেই এই আইনটাকে ভেটিংয়ের পর চূড়ান্তভাবে বাংলায় অনুবাদ করে নিয়ে আসা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনের ৬ ধারায় পরিচালনা পর্ষদ গঠনের কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান, সমবায় অধিদফতরের নিবন্ধক, বিআরডিবির মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের পাঁচজন পরিচালক ও সচিব থাকবেন পর্ষদে।
‘শর্ত সাপেক্ষে পর্ষদের নির্বাহী প্রধান হিসেবে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেবে সরকার। পর্ষদে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিও থাকবে। ’
তিনি বলেন, পরিচালনা পর্ষদ তাদের সুবিধাজনক সময়ে সভা করবেন। তবে ৩মাসের মধ্যে একটি সভা করা বাধ্যতামূলক। কোনো ব্যক্তি বিএডিসির নোটিশ অমান্য করলে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বিধান রাখা হয়েছে।
আইনের ৩০ ধারায় বলা হয়েছে, বিএডিসি’র কোনো স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করলে অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।
‘আর বিএডিসির কাজে ঠিকাদারকে বাধা প্রদান, নিপীড়ন, চিহ্ন অপসারণ করলে অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে,’ বলে উল্লেখ রয়েছে আইনের ৩১ ধারায়।
৩২ ধারায় বলা আছে, বিএডিসি’র জমিতে অনুমতি ছাড়া চাষাবাদ, চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত বা উক্ত জমিতে কোনো স্থাপনা নির্মাণ, ভূমির গাছ কর্তন, জবর দখল বা খনন কাজ করলে অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৮/আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা
এসই/এমএ