মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের আইনগত বিষয় উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) যুক্তিতর্ক পর্ব শেষ হয়।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আইনগত বিষয় উপস্থাপন করেন উভয়পক্ষের আইনজীবীরা।
রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পিপি একেএম নাছিমুল আক্তার আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিষয়ে আইনগত যুক্তি উপস্থাপন করেন। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী আতাউর রহমান আজাদ, আব্দুল করিম ও এস আকবর খান।
অপরদিকে আসামিদের আইনজীবী ফারুক আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন ও শামীম চৌধুরী প্রত্যেক আসামিকে নির্দোষ উল্লেখ করে তাদের বেকসুর খালাস দাবি করে আইনগত যুক্তি তুলে ধরেন। উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে বিচারক ১২ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করেন।
এর আগে ৩ জানুয়ারি মামলার বাদী মধুপুরের অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২৩ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকীর সাক্ষী ও জেরার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হয়। এ মামলায় চিকিৎসক, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ২৭ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ছোঁয়া পরিবহনের বাসে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন রূপা। এসময় রূপাকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করে হত্যা করেন বাস শ্রমিকরা। পরে মরদেহ মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাসটির হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিরা বর্তমানে টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৮
আরবি/