বৃহস্পতিবার দুপুরে পুণ্যার্থীদের পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া ২১তম কঠিনচীবর দানোৎসব শুক্রবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
বৌদ্ধদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দু’দিনব্যাপী এ কঠিনচীবর দানোৎসব মহামতি গৌতম বুদ্ধের প্রধান সেবিকা বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা কেটে রংকরণ ও বয়নসহ সেলাই শেষে দানকার্য সম্পাদন করা হয়েছে রতনাঙ্কুর বন বিহারে।
দু’দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে কঠিনচীবর দান ছাড়াও বুদ্ধপূজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, উৎসর্গ, ধর্মীয় দেশনা, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দান, সূত্রপাঠসহ নানা আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে হাজারো পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটে।
শুক্রবার বিকেলে কণ্ঠশিল্পী পার্কি চাকমার পরিবেশিত উদ্বোধনী সঙ্গীত দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন কমল কান্তি দেওয়ান এবং ভিক্ষুসংঘের কাছে শ্রদ্ধাঞ্জলি পাঠ করেন মনু খীসা।
উপস্থাপনায় ছিলেন- পুণ্যার্থী সুমিত্র চাকমা ও টিংকি চাকমা। অনুষ্ঠানের আগে প্রদক্ষিণ করা কঠিনচীবর ও কল্পতরু শোভাযাত্রা উৎসবকে গাম্ভীর্যপূর্ণ করে তোলে।
মূল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা এবং সারমর্ম বক্তব্য উপস্থাপন করেন রত্নাঙ্কুর বন বিহারের কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কমল কান্তি দেওয়ান।
এছাড়া জেলা পরিষদের সদস্য ত্রিদিব কান্তি দাস, ডা. অরবিন্দু চাকমা, রত্নাঙ্কুর বন বিহারের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান উপদেষ্টা হৃদয় রঞ্জন চাকমা, নানিয়ারচর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান কোয়ালিটি চাকমা প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পরে কঠিনচীবর দানের পুণ্যফলের বিশেষ তাৎপর্য তুলে ধরে ধর্মীয় দেশনা দেন মহাপরির্বাণপ্রাপ্ত বৌদ্ধ আর্যপুরুষ শ্রীমৎ সাধানানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের অন্যতম শিষ্য ফুরমোন আন্তর্জাতিক বন ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ভৃগু মহাস্থবির, রত্নাঙ্কুর বন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবির, রাজবন বিহারের সত্যপ্রেম মহাস্থবির ও জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবির প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৮
আরএ