শাবানার স্বামী ওয়াহিদ সাদেকের গ্রাম যশোরের কেশবপুর উপজেলার বড়েঙ্গা গ্রামবাসীর মধ্যেও এ নিয়ে চলছে নানান কথা-বার্তা।
চলতি বছরের জুলাই মাসে শাবানা স্বামীকে নিয়ে কেশবপুরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছিলেন।
ওয়াহিদ সাদেকের ভাইপো সুমন সাদেক বাংলানিউজকে বলেন, দিনক্ষণ ঠিক না হলেও দ্রুতই উনারা (ওয়াহিদ-শাবানা দম্পত্তি) এলাকায় আসবেন। তিনি আরো বলেন, দ্রুত সবকিছু পরিষ্কার হবে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০০০ সালের পর থেকেই সিনেমার শুটিং থেকে মুখ ফিরিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবানা। স্বামী- সন্তান নিয়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দেওয়ায় সাধারণের চোখে পড়েননি তিনি। তবে, নির্বাচনে স্বামীর প্রার্থীতার বিষয়কে নিয়ে মিডিয়ার বদৌলতে বছর খানেক ধরেই আলোচনায় আসেন দেশের এই কিংবদন্তী অভিনেত্রী।
এদিকে, ওয়াহিদ সাদেক বংশেরই সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মরহুম এএসএইসকে সাদেকের সহধর্মীনী ইসমাত আরা সাদেক বর্তমানে এই আসন থেকে এমপি হয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ঠাঁই পেয়েছেন মন্ত্রীসভায়। তবে, ইসমাত আরা গত পাঁচ বছরেও উপজেলা আওয়ামী লীগেরর সভাপতি-সম্পাদক, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভা চেয়ারম্যানসহ দলের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে কোণঠাসা করেছেন নেতাদের।
অন্যদিকে, একই বংশের শাবানার স্বামী ওয়াহিদ সাদেকের আওয়ামী লীগ থেকে ভোটের খবরে স্থানীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে অন্যরকম অনুভূতি দেখা দিয়েছে।
কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দেবেন, আমরা তাকে নিয়েই কাজ করব। তবে, ওয়াহিদ সাদেক মনোনয়ন পাবেন কিংবা পেতে পারেন এমন কোন দলীয় সিগন্যাল আমাদের কাছে নেই। তবে অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে এমপি বানিয়ে মন্ত্রী হওয়ায় কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ যে মরণ যন্ত্রণায়, এটা থেকে মুক্তি চাই। স্থানীয় সব নেতারা একমতে পৌঁছে নেত্রীর কাছে গিয়ে দাবি জানিয়ে বলেছি, যাকেই মনোনয়ন দেন, তিনি যেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের কেউ হন। এখন বাকিটা নেত্রীর ইচ্ছা।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৮
ইউজি/এনটি