মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের নেতার এমনটাই জানালেন।
একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে গোলাম কুদ্দুস বলেন, রোববার (৪ নভেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজত ইসলামের কোনও সমাবেশ ছিলো না। সেটা ছিলো ৬টি কওমী মাদ্রাসা বোর্ডের সম্মিলিতি একটি সমাবেশ। বিভিন্ন পেশাজীবী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা যেতে পারেন। কওমী মাদ্রাসা বোর্ড আয়োজিত এ সমাবেশেও তিনি যেতে পারেন। এটাকে আমরা নেতিবাচক হিসেবে দেখতে চাই না।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা আশা করি, সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন সময়ের দাবি। এ দাবি বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশন, সরকার, রাজনৈতিক দল ও শ্রেণী-পেশার সর্বস্তরের নাগরিকদের সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে জোটের পক্ষ থেকে ৬ দফা দাবি পেশ করা হয়। এসব দাবি মধ্যে রয়েছে- জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সব মত ও চিন্তার প্রতিফলন একমাত্র জাতীয় সংসদেই হওয়া উচিত, নির্বাচনে সব প্রার্থীর সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণের স্বার্থে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী মন্ত্রী-এমপিদের কোনও ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যাবে না, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত ও মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পোষ্যদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে, নির্বাচনে দলীয় স্বার্থে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে, নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশীশক্তির ব্যবহার কঠোরভাবে প্রতিরোধ করতে হবে, নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাঙালির হাজার বছরের মূল্যবোধ, নীতি নৈতিকতা বিরোধী প্রচারণা প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, শিল্পী ফকির আলমগীর, সংস্কৃতিকর্মী আহকাম উল্লাহ, আখতারুজ্জামান, কিরীটি রঞ্জন বিশ্বাস প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৮
টিআর/আরবি/