রোববার (০৪ নভেম্বর) সোহেলকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন ময়মনসিংহ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (০৬ নভেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন কিশোরগঞ্জ আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল মাহমুদ।
কিশোরগঞ্জ কোর্ট পরিদর্শক মো. তফিকুল ইসলাম তৌফিক বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সোহেল ময়মনসিংহের ধুবাউড়া উপজেলার জিন্নাত আলী বিশ্বাসের ছেলে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সোহেলের বর্তমান ঠিকানা ময়মনসিংহ শহরের ১১৯ আর কে মিশন রোডে।
কোর্ট পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে টাকার উৎস বের করা হবে। সোহেল কোথা থেকে, কীভাবে এতো টাকা পেলেন তা জানার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভৈরব জিআরপি পুলিশ সূত্র জানায়, মাদকের মামলায় দুইদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুলিশকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন সোহেল। পাশাপাশি মানি লন্ডারিং মামলাটি তদন্তের জন্য ময়মনসিংহের দুদকে পাঠায় জিআরপি পুলিশ।
ভৈরব রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আশ্রাফ উদ্দিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর দুপুরে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে জেলার সোহেল রানাকে আটক করে রেলওয়ে থানা পুলিশ। ওই সময় তার কাছ থেকে ১২ বোতল ফেনসিডিল, নগদ ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের এক কোটি ৩০ লাখ টাকার তিনটি চেক এবং স্ত্রী হোসনে আরা পপি, শ্যালক রকিবুল হাসান ও তার নিজের নামে দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার এফডিআর উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৮
এসআই