ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচন না করে মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৮
নির্বাচন না করে মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বামদের সঙ্গে সংলাপে সূচনা বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী/ছবি: পিআইডি

ঢাকা: এক এগারো সরকার আমাকে নির্বাচন না করার প্রস্তাব দিয়েছিল। বিনিময়ে একটি মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় তারা। কিন্তু তখন আমি বলেছিলাম, নির্বাচন হবে। জনগণ যাকে চাইবে সেই ক্ষমতায় আসবে।

মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের ব্যাঙ্কোয়েট হলে সিপিবি-বাসদ নেতৃত্বাধীন বাম জোটের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের নেতারা সংলাপে অংশ নিচ্ছেন।

অন্য দিকে রয়েছেন সিপিবি-বাসদ নেতৃত্বাধীন বাম জোটের ১৬ নেতা।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে আনাই ছিল লক্ষ্য। সবচেয়ে বড় কথা ছিল দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি। একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে দেশের মানুষের উপর অত্যাচার করেছে ঠিক একই কায়দায় ২০০১ সালে নির্বাচনের পর অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর।

‘যে ক্ষমতায় আসে সেই বসে যেতে চায়। খালেদা জিয়া বারোটা ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে আরো ৫-৬টি মামলা দেয় আমার বিরুদ্ধে। ২০০১ এ আমরা যেখানে বাংলাদেশ দেখে এসেছিলাম সেখান থেকে বাংলাদেশ আবার পিছিয়ে যায়। ২০০৮ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন বিশ্বমন্দার মধ্যে আমরা এগিয়ে যাই। ২০১৩ সাল থেকেই নির্বাচন ঠেকানোর নামে অগ্নিসংযোগসহ নানা নাশকতা করা শুরু করে। ’

তিনি বলেন, ২০১৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আপনারা যদি বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্রটা দেখেন তাহলে নিশ্চয়ই এটা স্বীকার করতে বাধ্য হবেন যে আমরা উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি।

‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরিয়ে আনা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার মতো কঠিন কাজটা এই সময়ের মধ্যে আমরা করতে পেরেছি। কারণ, জনগণের সমর্থন ছিল বলেই যুদ্ধাপরাধের বিচার করার পাশাপাশি রায়ও কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছে সরকার। এ কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে। যে কারণে আমাদের বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হার ৭ দশমিক ৮। ’

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর থেকেই বাম নেতারা গণভবনে আসতে শুরু করেন।  

আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্মেলনে বাম জোট থেকে ১৬ জন অংশ নিচ্ছেন। তারা হলেন- সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটি সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্তী ও আলমগীর হোসেন দুলাল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য মোমিনুর রহমান বিশাল, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রনজিৎ কুমার।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
এমইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।