বুধবার (০৭ নভেম্বর) বিকেলে ধনবাড়ী থানায় নির্যাতিত ওই স্কুলছাত্রীর বাবা সাবেক সেনা সদস্য বাদী হয়ে এ মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেফতার ও ওই স্কুলছাত্রীকে হেফাজতে নিয়ে মেডিকেলে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী ধনবাড়ী নবাব ইনস্টিটিউট থেকে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার পূর্ববর্তী নির্বাচনী পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। সে তার প্রতিষ্ঠানের ছয়জন, ধনবাড়ী কলেজিয়েট হাইস্কুলের চারজন ও ধনবাড়ী কলেজের এক শিক্ষার্থী দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ২৭ অক্টোবর (শনিবার) ওই স্কুলছাত্রী ফরম ফিলাপের সুযোগ ও পরীক্ষার সাজেশন দেওয়ার কথা বলে মোবাইলে ফোন করে ধনবাড়ী নওয়াববাড়ী লিচু বাগানের এক ছাত্রাবাসে ডেকে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে তার সহপাঠীসহ ১১ জন। পরদিন রোববার সকালে মেয়েটিকে ধর্ষণের এ ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। জানালে ধর্ষণের ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। পরে বাসায় ফিরে ওই স্কুলছাত্রী অভিভাবকের কাছে পুরো ঘটনাটি খুলে বলে। ঘটনাটি প্রভাবশালী মহল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে বুধবার বিকেলে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা পুলিশ পাহারায় ধনবাড়ী থানায় গিয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। এদের মধ্যে ছয়জন ধনবাড়ী সরকারি নওয়াব ইনস্টিটিউশন উচ্চ বিদ্যালয়ের, চারজন ধনবাড়ী কলেজিয়েট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের এবং একজন ধনবাড়ী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মধুপুর সার্কেল) কামরান হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এ বিষয়ে মামলা হচ্ছে। পরে বিষয়টি জানানো হবে।
ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় ভিকিটিমের বাবা বাদী হয়ে ধনবাড়ী নওয়াববাড়ী লিচু বাগান ছাত্রাবাসের ১১ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৮
এনটি