ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কথা বলতে পারছেন না তারামন, নেওয়া হচ্ছে ঢাকা সিএমএইচ

এম আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৮
কথা বলতে পারছেন না তারামন, নেওয়া হচ্ছে ঢাকা সিএমএইচ ময়মনসিংহ সিএমএইচে তারামন বিবি/ছবি: বাংলানিউজ

ময়মনসিংহ: মুখে অক্সিজেন মাস্ক। হাসপাতালের বেডে ঘুমোচ্ছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত কিংবদন্তি তারামন বিবি। শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের সমস্যা তার বহু পুরনো। কমে গেছে রক্তচাপ। সঙ্গে আবার যোগ হয়েছে ডায়াবেটিস সমস্যা। এতে কথাই বলতে পারছেন না বীরপ্রতীক খেতাব পাওয়া অকুতোভয় এই নারী মুক্তিযোদ্ধা। তারামনের জীবন নিয়ে নতুন করে শঙ্কিত তার পরিবার। 

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে কুড়িগ্রামের রাজীবপুরের বাসা থেকে ময়মনসিংহ সিএমএইচে (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) ভর্তি করা হয় তাকে।  

এখানে সার্বক্ষণিক তার পাশে রয়েছেন একমাত্র ছেলে আবু তাহের।

বিকেলে জাতির এই বীর কন্যার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান ছেলে আবু তাহের।  

আবু তাহের বাংলানিউজকে বলেন, আমার মায়ের একটি ফুসফুস অনেক আগে থেকেই নষ্ট। আরেকটিও প্রায় অকার্যকর। আর শ্বাসকষ্টের সমস্যা তো আছেই। মাঝেমধ্যে শ্বাসকষ্ট অনেক বেড়ে যায়। আবার কোনো সময় নিয়ন্ত্রণে থাকে।

সকাল ৮টা থেকে দুপুর দেড়টা এই দীর্ঘপথে অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহে আসার পথে একটি কথাও বলেননি তারামন, এমন তথ্য জানিয়ে তার সন্তান বলেন, কথা বলার মতো মায়ের অবস্থা নেই। রোগে-শোকে তিনি কাতর।  

উন্নত চিকিৎসার জন্য কিছুক্ষণের মধ্যেই মাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) হেলিকপ্টারে করে পাঠানো হবে, বলেন আবু তাহের। তিনি বলেন, আমরা এখন প্রস্তুতি নিচ্ছি।  

এর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহের দিকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন পাকিস্তানিদের সঙ্গে লড়াই করে বাঙালি জাতিকে লাল-সবুজের পতাকা এনে দেওয়া তারামন বিবি। বাঙালির জাতির গৌরবময় স্বাধীনতা অর্জনের অন্যতম দিকপাল হিসেবেও বিবেচনা করা হয় তাকে।  

২০১৪ সালের দিকে তারামন বিবির ফুসফুসের সমস্যা ধরা পড়ে। এরপর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু উন্নতি হয়নি অবস্থার।  

এরপর ২০১৬ সালের ওই সময়ে রংপুর থেকে সরাসরি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে কুড়িগ্রামের রাজীবপুর কাচারিপাড়ার বাড়িতে ফিরলেও শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলেনি মাত্র ১৪ বছর বয়সে সম্মুখ সমরে লড়াই করা এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।  

তারামন বিবির ছেলে আবু তাহের আরও জানান, বছরের বেশিরভাগ সময়েই মাকে হাসপাতালে রাখতে হয়। আজ ময়মনসিংহে আনার পর ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে। দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানো হলে আমার মা সুস্থ হয়ে উঠতো।  

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮ 
এমএএএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।