শনিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর সরেজমিনে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের চাষাঢ়া, ২ নং রেলগেইট এলাকা ঘুরে নিত্যদিনকার চিত্রই দেখা গেছে।
প্রতিটি সড়কের পাশে পথচারীদের চলাচলের জন্য বরাদ্ধ ফুটপাত পুরোটাই দখল করে দোকানের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন হকাররা।
সড়কে যানবাহন চলাচল করলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। এ অবস্থা এখন নিয়মিতই হয় বলে জানান পথচারীরা। হকারদের জন্য চাষাঢ়া-মিশনপাড়ায় হকার্স মার্কেটে কিংবা অলিগলিতে তাদের বসতে বলে বঙ্গবন্ধু সড়কটি ছেড়ে দিতে বহুবার অনুরোধ করা হলেও তারা শোনেননি।
অসংখ্যবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও সদর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে হকারদের উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া অনেকবার তাদের ফুটপাতে বসতে নিষেধ করে মাইকিংও করা হয়েছে। কয়েকবার তাদের মালামালসহ দোকান উচ্ছেদ করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাতেও কাজ না হলে সবশেষ সিটি করপোরেশনের ময়লা ভোরের আগেই ফুটপাতে ফেলে রেখে হকারদের বসতে সমস্যার সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি, হকাররা নিজেরাই সকল ময়লা অপসারণ করে আবার দোকান সাজিয়ে বসে পড়েছেন।
পথচারী নুরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, এভাবে ফুটপাত দখল কোনো সভ্য সমাজে দেখা যায় না। আমরা পরিবার পরিজন বাচ্চাদের নিয়ে সড়ক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি আর তারা আমাদের চলাচলের ফুটপাতে দোকান সাজিয়ে বসে আছে। সড়কে চলাচলের কারণে অনেক সময় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় আমাদের।
সড়ক দিয়ে চলাচল করতে থাকা ষাটোর্ধ্ব সাজেদা বেগম বলেন, আমি এই বয়সে সড়ক দিয়ে কষ্ট করে যাচ্ছি। অথচ এত সুন্দর করে আমাদের চলাচলের জন্য তৈরি করা ফুটপাতে এখন দোকানের জন্য চলাচল করা যায় না। এ সমস্যার সমাধান দ্রুত করা উচিত।
ফুটপাতের দোকানি অলি উল্লাহ জানান, আমাদের বিকল্প কোনো স্থান না দিয়েই উচ্ছেদের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের তো পরিবার আছে, রোজগার করতে হয়। ব্যবসা বন্ধ করে দিলে খাবো কী, চলবো কিভাবে। আমরা ভালো নেই, অনেক প্রতিকূলতায় আমরা টিকে আছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৮
এপি/এমজেএফ