বিটিআরসি এবং র্যাব গত ১৪ অক্টোবর হতে বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২৬টি আবাসিক স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে।
রোববার (১১ নভেম্বর) রমনায় বিটিআরসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক জানান, ১৪-১৮ অক্টোবর রাজধানীর ধানমন্ডি, তেজগাঁও, কদমতলী, সিদ্ধিরগঞ্জ, পল্লবী ও মিরপুর এবং ২১-৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী, পাঁচলাইশ, বাকলিয়া, চকবাজার, চান্দগাঁও, সদরঘাট ও হালিশহর এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অভিযানে রবির ১৬ হাজার ৮১২টি, টেলিটকের ১৫ হাজার ৯৩৯টি, বাংলালিংকের ছয় হাজার ১৭৬টি, গ্রামীণফোনের তিন হাজার ২২৩টি সিমসহ মোট ৪২ হাজার ১৫০টি সিম জব্দ করা হয়।
এছাড়া অবৈধ ভিওআইপি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সিম পোর্ট বিশিষ্ট মোট ১৪৮টি জিএসএম (সিমবক্স) গেটওয়ে, দুই হাজার ৬৭৭টি মডেম ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক মালামাল জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য এক কোটি ২৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, অবৈধ কারবারে জড়িত থাকায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট থানায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১ এর অধীনে ২৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিটিআরসি চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় বর্তমানে এ সংক্রান্ত অবৈধ কার্যক্রমে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত সিমবক্সের সুনির্দিষ্ট স্থান (পিন পয়েন্ট) শনাক্তকরণে সক্ষমতা অর্জন করেছে। এতে সাম্প্রতিক অভিযান গুলোতে অতীতের চেয়ে অধিকতর সফলতা অর্জিত হচ্ছে। এসব অভিযান থেকে প্রতীয়মান হয়েছে যে, ঢাকা ও চট্টগ্রামের অপারেশনে যে পরিমাণ অবৈধ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে এর মাধ্যমে দেশের বার্ষিক ৮৬৭ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হতো।
সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অভিযানে সম্পৃক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ) ও বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৮
এমআইএইচ/আরআইএস/