এছাড়া এ মামলার অপর তিন আসামি হারুন, কাশেম ও আবুল খায়েরকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
রোববার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১টায় চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এ রায় দেন।
নিহত মোস্তফা কামাল ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান ছিলেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আবু তাহের ওই গ্রামের লুৎফুর রহমানের ছেলে এবং সোহাগ আবু তাহেরের ছেলে।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি একই এলাকার হারুনুর রশিদ মৃত জামাল হকের ছেলে, মো. আবুল কাশেম ও আবুল খায়ের লুৎফুর রহমানের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে আসামিরা মোস্তফা কামালকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে ঢাকায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ৪ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ৪ অক্টোবর নিহতের চাচা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত উল্লেখিত আসামিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আমান উল্যাহ বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন মামলাটি চলমান অবস্থায় ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। আসামিদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্য প্রমাণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে আদালত উপরোক্ত রায় দেন।
সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহমেদ অভি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৮
এনটি