রোববার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে আয়করমেলা-২০১৮ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মতপ্রকাশ করেন।
এনবিআরের আয়কর বিভাগের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির ১৩ উৎস এবং এসব দুর্নীতি প্রতিরোধে ২৩টি সুপারিশ করে একটি প্রতিবেদন গত বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর জমা দিয়েছে দুদক।
এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি এটা (দুদক প্রতিবেদন) এখনও পাইনি। এ ব্যাপারে আমি দুদকের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। কারণ, আপনি যদি একেবারে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করেন তাহলে দুদকের দুর্নীতিও কতো ধরনের সেটা বের করতে পারবেন। সবারই দুর্নীতি আছে আমাদের দেশে। সেটি পরিবর্তনের জন্য আমাদের সামাজিক ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। ’
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দুদক যদি শুধুমাত্র কর-কাস্টমস বিভাগকেই টার্গেট করে এবং এখানে তাদের অফিস স্থাপনের চেষ্টা করে, সেটা হবে না। দুদক যা-ই বলুক, যে প্রতিবেদনই দিক, ইনকাম ট্যাক্স আইন এবং কাস্টমস আইন অনুযায়ী যদি তাদের অ্যাক্টিভিটিস আমাদের এখানে অ্যালাউ হয়, তাহলেই শুধু করতে পারবে, আদারওয়াইজ নট (অন্যথায় নয়)। ’
দুর্নীতি আগের চেয়ে কমেছে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে আরও সচেতনতা বাড়ানো দরকার মন্তব্য করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকারের সৎ কর্মকর্তাদের পুরস্কার এবং অসৎ কর্মকর্তাদের তিরস্কার করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। ’
দুদকের প্রতিবেদনে আয়করমেলা আয়োজনে ‘বিলাসবহুল ব্যয়ের’ অভিযোগের বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কারও চোখে একটা বিষয় বিলাসবহুল হলেও আরেকজন সেটাকে প্রয়োজন মনে করতে পারে। ’
ভ্যাট ও শুল্কখেলাপি আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হলে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না; এমন প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এবারের নির্বাচনটা চলে যাক, তারপর নতুন সরকারের প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে একটা উদ্যোগ নেওয়া হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৮
এমআইএফ/আরবি/