রোববার (১১ নভেম্বর) ছিলো অনুষ্ঠানের সমাপনী অধিবেশন। এর আগে শনিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
শনিবার রাতে বিভিন্ন এলাকার মাতব্বর ও সর্বসাধারণের উপস্থিতিতে আগামী ২০১৯ সালের ওয়ানগালা মিরতিঙ্গা চা বাগানে অনুষ্ঠিত হবে বলে সম্মতি জানায়। এরপরই গারো শিল্পীরা নিজেদের কৃষ্ঠি সংস্কৃতি ঐতিহ্যগুলো নাচ, গানের মধ্য দিয়ে তুলে ধরে।
রোববার দুপুরে সরেজমিন ফুলছড়া গারো বস্তিতে গিয়ে দেখা যায়, গারো মেয়েরা নানান রঙে সুসজ্জিত হয়ে তাদের ঐতিহ্যগত নৃত্য পরিবেশন করছে। আগামী ২০১৯ সালের নকমাকে গারোদের সর্বোচ্চ সম্মানের প্রতীক কুটুপ পড়ানো হয়। ওয়ানগালা উৎসবের তাৎপর্য বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শ্রীমঙ্গল ধর্মপল্লীর সহকারী ফাদার দিগন্ত চাম্বুগং সিএসসি।
ওয়ানগালাই সম্পূর্ণ গারো ভাষাই মহাখ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ঢাকা থেকে ফাদার পংকজ নকরেক সিএসসি। তাকে সহযোগিতা করেন শ্রীমঙ্গল ধর্মপল্লীর পালপুরোহিত ফাদার নিকোলাস বাড়ৈ সিএসসি, ফাদার যোসেফ গনছালবেজ সিএসসি।
খ্রীষ্টযাগের শুরুতেই বেদির পাশে তৈরিকৃত পবিত্র ক্রুশে মালোদান ও কুটুপ পড়ানো হয়। সেইসঙ্গে উৎপাদিত প্রথম ফসলগুলো ক্রুশের নিচে সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে উৎসর্গ করা হয়। গারোদের ১৩টি গোষ্ঠীর উদ্দেশে মুসিবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
এছাড়াও ওয়ানগালার মূল অনুষ্ঠানের অংশ টক্কা, রুগালা, সাসাতসুআ (ধূপ পুড়ানো) ও উৎপাদিত ফসল আর্শীবাদ প্রদান হয় খ্রীষ্টযাগে। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে গারো শিল্পীদের নিয়ে ঐতিহ্যগত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
শ্রীমঙ্গল মাতব্বর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্ষিতিশ আরেং বলেন, খ্রীষ্টমণ্ডলীতে ওয়ানগালা একটি বড় উৎসব হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজ ভাষাই কথা বলা এবং নিজেদের পরিচয় বহন করার একটি বড় ভূমিকা পালন করে এ উৎসব। নিজেদের ঐতিহ্য সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য ওয়ানগালা উৎসব আয়োজন একটি মহৎ উদ্যোগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৮
বিবিবি/আরবি/