ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আত্মহত্যা করেছিলেন বাবুসোনা হত্যার মূল আসামি কামরুল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৮
আত্মহত্যা করেছিলেন বাবুসোনা হত্যার মূল আসামি কামরুল

রংপুর: রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও আওয়ামী লীগ নেতা রথীশ চন্দ্র ভৌমিক ওরপে বাবুসোনা হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামের (৪৮) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিলো। 

শনিবার (১০ নভেম্বর) ভোরে কারাগারের অভ্যন্তরে নিজ কক্ষে গলায় চাদর পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। পরে কারা কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে ঘটনার ২০ মিনিট পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

রংপুর কারাগারের জেলার আমজাদ হোসেন ডন বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।  

এর আগে, শনিবার কারা কর্তৃপক্ষ হৃদরোগসহ অন্যান্য রোগের কারণে কামরুলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানালেও পরে অন্য কয়েদিদের তথ্যমতে আত্মহত্যার চেষ্টার বিষয়টি নিশ্চিত হন জেলার আমজাদ হোসেন।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কামরুল ভোরে উঠে ওজু করে নামাজ পড়েন। পরে তার সঙ্গে থাকা অন্য দুই বন্দি নামাজের জন্য অজু করতে গেলে তিনি নিজের গায়ে জড়ানো চাদর জানালার রডের সঙ্গে বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তার গোঙানির শব্দ শুনে অন্য বন্দিরা তাকে খবর দেন। এ সময় তাকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ২০ মিনিট পর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আমজাদ হোসেন বলেন, কামরুল ডায়াবেটিস ও হৃদরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গত ৩০ অক্টোবর থেকে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। সর্বশেষ ৬ ও ৭ নভেম্বর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। ওইসময় আদালতে হাজির করা হয় কামরুল ও দীপাকে। ৭ নভেম্বর আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন কামরুল। এক সপ্তাহ যাবত শারীরিকভাবে অসুস্থসহ বিষন্নতায় ভুগছিলেন তিনি।

এদিকে, চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল রাতে এ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত বাবুসোনার অফিস সহকারী ও স্ত্রী দীপা ভৌমিকের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত মদন চন্দ্র বর্মন মিলন ওরফে মিলন মোহন্ত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ফলে অভিযুক্ত মিলন মোহন্তকে বাদ দিয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর কামরুল ও দীপার নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আর এখন কামরুলের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাবুসোনা হত্যা মামলার একমাত্র আসামি থাকলেন তার স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দীপা। তিনি রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

চলতি বছরের ২৯ মার্চ রাতে বাবুসোনাকে ১০টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহ তাজহাট মোল্লাপাড়ায় প্রেমিক কামরুলের ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা হয়।

৩ এপ্রিল রাতে বাবুসোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার ওরফে দীপা ভৌমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব আটক করে। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন এবং মরদেহের অবস্থান সম্পর্কে তাদের জানান। সে সূত্র ধরে ওইদিন রাতে মোল্লাপাড়ার একটি বাড়ির মেঝে খুঁড়ে নিহত বাবুসোনার গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

** বাবুসোনা হত্যা মামলার মূল আসামির মৃত্যু

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৮
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।