ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাবনায় ডাকাতের উৎপাত, নির্ঘুম রাতযাপন মানুষের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
পাবনায় ডাকাতের উৎপাত, নির্ঘুম রাতযাপন মানুষের

পাবনা: পাবনায় একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এ আতঙ্কে গত কয়েক দিন ধরে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে জেলার কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ করেই পাবনা সদর, ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া, চাটমোহর, সুজানগরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ডাকাতের উৎপাত বেড়ে গেছে।

গত ১৪ নভেম্বর (বুধবার) রাত আনুমানিক ১টার দিকে আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের কদমডাঙ্গা গ্রামের ব্যবসায়ী নুরুজ্জামানের বাড়িতে ৭-৮ জনের মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাত দল হানা দেয়।

ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকদের জিম্মি করে ফেলে। এসময় ব্যবসায়ী নুরুজ্জামানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং তার দুই ছেলে সাগর (২১) ও শাওনকে (১৬) মারধর করে। ডাকাতরা ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে নগদ তিন লাখ টাকা ও ছয় ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।

দুই দিনের মাথায় শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে ঈশ্বরদী আলহাজ্ব মোড় এলাকার আইকে রোডের চঞ্চলের ব্যাটারির দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ছয়-সাত জনের ডাকাত দল ট্রাকযোগে এসে প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এসময় নাইটগার্ড বাধা দিতে গেলে তাকে ডাকাতরা পিটিয়ে আহত করে বেঁধে রাখে।

এর আগে ১৩ নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাতে ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের দীঘা স্কুলপাড়ার মৃত কেরু সরদারের ছেলে তারিকুজ্জামান বাবু সরদারের বাড়ির জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে ৪-৫ জন ডাকাত অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। এসময় স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য তিন লাখ টাকার মতো বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাবু।

তারও আগে ১০ নভেম্বর উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারি দক্ষিণপাড়ার মৃত খলিল মুন্সির ছেলে রিপন মোল্লার বাড়িতে ডাকাতি করে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায় সশস্ত্র ডাকাত দল।  

একইভাবে ছিঁচকে চোর ও ডাকাতের অত্যাচারে অতিষ্ঠ পাবনা সদরের কাচারীপাড়া, সাধুপাড়া, মণ্ডলপাড়া, বাঁশতলাসহ অধিকাংশ এলাকার মানুষজন। শনিবার (১৭ নভেম্বর) কাচারীপাড়া ও সাধুপাড়া এলাকায় একদল সশস্ত্র ডাকাতদল হামলা চালায়।

স্থানীয়রা জানান, ১০-১২ জনের ডাকাত দল কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে চারটি বাড়িতে হামলা চালায়। এলাকাবাসী ডাকাত দলের উপস্থিতি টের পয়ে মোবাইল ফোনে প্রতিবেশীদের জানায়। ওই সময় সবাই একত্রিত হয়ে ডাকাত দলকে ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়।

তবে ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশ সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে বুলে জানিয়েছেন পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) শেখ রফিকুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। রাতে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। অপরাধী যেই হোক তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এরই মধ্যেই সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। খুব শিগগির পুরো দলটিকে গ্রফতার করা সম্ভব হবে বলেও জানান পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।