মিরপুর, ফার্মগেট, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়িসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে এসব অবৈধ যানগুলো চলাচল করছে।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর সড়কে শৃংখলা ফেরাতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আসে ১৭টি নির্দেশনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুর-২ নম্বরের ৬০ ফিট সড়ক থেকে আগারগাঁও রেডিও স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করছে মহানগর ডিজিটাল সিটি পরিবহন। একই স্থান থেকে ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড পর্যন্ত চলাচল করছে ঢাকা ইন্দিরা পরিবহন।
আবার একই কোম্পানির নামে ইন্দিরা রোড থেকে ঝিগাতলা পর্যন্ত চলাচল করছে লেগুনা। পাশাপাশি ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের সামনে থেকে আনন্দ পরিবহন চলছে আজিমপুর পর্যন্ত।
পুরান ঢাকা বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে যাত্রাবাড়ি এবং বাসাবো থেকে দৈনিক বাংলা পর্যন্ত প্রতিদিন চলাচল করে জিপ গাড়ির মতো এক ধরনের হিউম্যান হলার।
এছাড়া জুরাইন থেকে গুলিস্তান, রাজধানী মার্কেট থেকে জুরাইন এবং পোস্তগোলা থেকে সদরঘাটের বাংলাবাজার পর্যন্ত অবাধে চলাচল করে লেগুনা।
মিরপুর ৬০ ফিট এলাকার লেগুনার লাইনম্যান মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মহাখালী পর্যন্ত আগে আমরা চালাতাম। এখন সেখানে যেতে দেয় না। তাই রেডিও স্টেশন পর্যন্ত যাই। আর ইন্দিরা রোড পর্যন্ত যায় আরেকটি গাড়ি।
এদিকে ঢাকা ইন্দিরা পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন চুন্নু দাবি করে বলেন, এসব লেগুনার রুট পারমিট আছে। রুট পারমিট কিভাবে পেলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, যেখান থেকে রুট পারমিট বন্ধ করেছিলো সেখান থেকেই আবার রুট পারমিট পেয়েছি।
ফার্মগেটের আনন্দ পরিবহনের মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আশরাফ খান বাংলানিউজকে বলেন, ফার্মগেট-আজিমপুর রুটে এতোদিন লেগুনা চলাচল বন্ধ ছিলো। গত সপ্তাহ থেকে আবার চালু হয়েছে। এ রুটে প্রায় ৫৫টি লেগুনা চলাচল করে। তবে সবগুলো লেগুনার রুট পারমিট নেই।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময় বেশকিছু রুটে চলাচলের জন্য লেগুনা বা হিউম্যান হলারকে রুট পারমিট দেওয়া হয়েছে। তবে সেগুলো রাজপথ এড়িয়ে সংযোগ সড়কগুলোতে চলাচলের জন্য।
সংস্থাটির পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানি বাংলানিউজকে বলেন, রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কমিটির (আরটিসি) মাধ্যমে এ ধরনের যানবাহনের রুট পারমিট দেওয়া হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত ১৫৯টি রুটে দুই হাজার ৪৭৮টি লেগুনার রুট পারমিট আছে।
রাজপথে লেগুনার অবাধ চলাচল সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মীর রেজাউল করিম আলম বাংলানিউজকে বলেন, এখন যে লেগুনাগুলো চলছে সেগুলো নিয়ম মেনেই চলছে। আর যেগুলো নিয়মের বাইরে চলছে সেগুলো আমরা দেখব।
বাংলাদেস সময়: ০৬২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
এসএইচএস/এমইউএম/এনটি