ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জোড়া খালি ষাট…

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
জোড়া খালি ষাট… শীতবস্ত্র কিনছেন ক্রেতারা। ছবি: বাংলানিউজ

বগুড়া: খালি দেড়শ’, দুইশ’, তিনশ’, খালি জোড়া ষাট, খালি পঞ্চাশ, ষাট…দাম হাকিয়ে হাকডাক ছাড়ছেন রকমারি শীতবস্ত্র বিক্রিকারী ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা। ফুটপাতের এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে হাফ-ফুল সুয়েটার, জ্যাকেট, হালকা-মোটা গেঞ্জি, জিন্স-গ্যাবার্ডিন কাপড়ের প্যান্ট, মাফলার, শিশু ও ছোটদের বিভিন্ন সাইজের সেটসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্র পাওয়া যায়।

ভ্যানের ওপর এসব দোকান বসানো হয়। ভ্যানের নিচটা অনেকটা বক্সের মতো করে তৈরি।

তার মধ্যে জায়গা অনুযায়ী পোশাক রাখা হয়। এছাড়া বক্সের ওপর যে যার মতো করে একটা ঢাকনার মতো কোন তৈরি করেন। তার ওপর বিছিয়ে রাখা হয় রকমারি শীতবস্ত্র।
 
ভ্যানের চারপাশে চারটি খুঁটি দিয়ে ওপরের অংশে পলিথিন বা অন্যকিছু দিয়ে বানানো ছাউনি থাকে। সেখানে থাকে আলোর ব্যবস্থা।  
 
বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথার কয়েকটি সড়কের সম্মুখভাগ দিয়ে শীতবস্ত্র বিক্রির এসব ভ্রাম্যমাণ দোকান বসানো হয়। সড়কের একপাশ দিয়ে সারিবদ্ধভাবে দোকানগুলো প্রত্যেক দিন বিকেল থেকে বসানো হয়। এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে রাত ১১টার অধিক সময় পর্যন্ত বেচাকেনা চলে।  
শীতবস্ত্র কিনছেন ক্রেতারা।  ছবি: বাংলানিউজদিনের প্রথমভাগ থাকে অনেকটা কুয়াশায় মোড়ানো। সে সময়টাতে বেশ শীত অনুভূত হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের ভাবটা কেটে যায়। আবার বিকেল থেকেই চিত্রটা পাল্টাতে শুরু করে। শীতের মাত্রা বাড়তে থাকে। তাই স্বভাবতই শীতের কামড় থেকে বাঁচতে শীতবস্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। আর শীতকে ঘিরেই জমে ওঠতে শুরু করেছে ভ্রাম্যমাণ দোকানিদের শীতবস্ত্রের বেচাকেনা।
 
ভ্যানের ওপর সাজিয়ে রাখা থরে থরে শীতবস্ত্র। চারদিকে ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছেন ক্রেতা সাধারণ। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের সঙ্গে ধনী পরিবারের মানুষদের এসব দোকান থেকে পোশাক কিনতে দেখা যায়। ভ্যানের চারপাশে দাঁড়িয়ে ক্রেতা সাধারণ পছন্দ করেন তাদের প্রিয় শীতবস্ত্র।
 
কথা হয় তানভীর, হাসান, সাব্বির, সোহেলসহ বেশ কয়েকজন ভ্রাম্যমাণ দোকানির সঙ্গে। তারা বাংলানিউজকে বলেন, এ শহরে প্রায় দেড়শ’ থেকে দুইশ’র মতো ভ্রাম্যমাণ দোকানি রয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই ভ্যানে দোকান সাজিয়ে শীতবস্ত্রের ব্যবসা করে থাকেন।
 
তারা জানান, বেচাবিক্রির মূল পর্বটা শুরু হয় বিকেল থেকে। তবে সন্ধ্যার পর বেচাকেনা বাড়তে থাকে। চলে অনেক রাত পর্যন্ত। শীত যতো বাড়তে থাকবে, বেচাবিক্রিও ততো বাড়ে বলে জানান এসব দোকানিরা।    
 
আব্দুল জব্বার, শামীম, রফিক বাংলানিউজকে জানান, রকম ভেদে অনেকটা একদামে পোশাক বিক্রি করেন তারা। ক্রেতা সাধারণের দায়িত্ব কেবল পোশাক পছন্দ করা। বাকিটা দোকানিরা বুঝিয়ে ক্রেতার কাছে পোশাক বিক্রি করেন। এসব দোকান থেকে ধনী-গরিবসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ পোশাক কেনেন- যোগ করেন এসব দোকানিরা।  
 
তারেক, এনামুল, সুমি ইসলামসহ কয়েকজন ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, কম দামের ভ্রাম্যমাণ দোকান হলেও এসব দোকানেও অনেক পছন্দের পোশাক পাওয়া যায়। শুধু বেছে বেছে ভালো করে দেখতে হয়। অবশ্য এজন্য কিছুটা কষ্ট করতে হয়। এছাড়া তারা এসব দোকান থেকে পছন্দের শীতবস্ত্র কিনেছেন বলেও জানান।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
এমবিএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।