বুধবার (২৮ নভেম্বর) অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র হানিফের মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ স্মৃতি সংসদ, মেয়র হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মরহুমের কবর জিয়ারত, তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ এসব কর্মসূচিকে তাকে স্মরণ করা হয়।
সকালে আজিমপুর কবরস্থানে কর্মসূচিতে মেয়র সাঈদ খোকন ছাড়াও সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, হাজী সেলিম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলররাসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পরে আজিমপুর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং নগর ভবন প্রাঙ্গণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, মোহাম্মদ হানিফের মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী আলাদা শোক বাণী দিয়েছেন।
এছাড়াও বুধবার হানিফের একমাত্র ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন তার বাবার রুহের মাগফিরাত কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চান। একইসঙ্গে নগরে বুধবার থেকে দুই সপ্তাহব্যাপী বিনামূল্যে ওষুধসহ চিকিৎসাসেবা দেওয়া কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
মেয়র হানিফ স্মরণসভায় বক্তারা তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করে বলেন, তার মতো বহু গুণে গুণান্বিত রাজনীতিক বিরল। তার এসব অনুকরণীয় অবদান সবাই চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে বিকেলেও এ উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রাণ রক্ষার্থে মেয়র হানিফ ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন অসংখ্য স্প্লিন্টারের আঘাতে তিনি মারাত্বকভাবে আহত হন। পরে ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে ৬২ বছর বয়সে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৮
এসএম/টিএ