সোমবার (০৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে আশিকের মরদেহ তার প্রতিবেশী মিশুকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
রামচন্দ্রপুর গ্রামের কুতুব উদ্দিনের ছেলে আশিক ধরমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আশিকের বাবা কুতুব উদ্দিন বলেন, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আশিককে বাড়ির পাশের মৃত সামের আলীর ছেলে মিশুক (২৩) ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে দিয়ে দুইবার সিগারেট কিনিয়ে আনায় সে। দুপুর পর্যন্ত মিশুকদের বাড়িতেই ছিল আশিক। পরে বিকেল ৪টা ৪৮ মিনিটে এক ব্যক্তি আমার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বলেন, ‘তোর ছেলে আশিক আমার কাছে আছে, আধা ঘণ্টার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা ম্যানেজ করে আমাকে দিবি। তা না হলে তোর ছেলেকে আমি মেরে ফেলবো’- এরপর ফোনটা কেটে দেয়। পরে আমি মিশুকদের বাড়ি গিয়ে দেখি আশিক সেখানে নেই। সেই সঙ্গে মিশুকও নেই। এসময় মিশুকের ছোট ভাই আসিফ জানায় যে আশিক শ্বশুর বাড়ি গেছে। পরে মিশুককে ফোন করা হলে সে জানায় যে তার সঙ্গে আশিক নেই। যে মোবাইল ফোন নম্বর থেকে টাকা চেয়েছে সে নম্বর আসিফের মাধ্যমে চেক করিয়ে দেখি সেটি মিশুকের মোবাইল ফোন নম্বর। একদিন পার হলেও ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে আমি থানায় মামলা দায়ের করি। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিশুকদের বাড়ি থেকে আমার ছেলেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাহীন জানান, মামলার পর পুলিশ মিশুক ও তার ভাই আসিফকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে মিশুকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি বাক্স থেকে আশিকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
এসআই