ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গুজবকারীদের চিহ্নিত করতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৮
গুজবকারীদের চিহ্নিত করতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল

ঢাকা: যারাই গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে ও চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গুজবকারীদের চিহ্নিত করা সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে ‘গুজববিরোধী জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপনের (টিভিসি)’ শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন এমন একটি সময় এসেছে, গুজব রটনার বিশেষ ক্ষেত্র তৈরি হয়ে যেতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলে-মেয়েরা যে রকম কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও ছবি আপলোড দিচ্ছে, মানুষ ঘৃণায়, লজ্জায় মাথানত করছে। আমরা জানাতে চাই এটা (গুজব রটানো) দণ্ডনীয় অপরাধ।

‘যারাই গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে ও চেষ্টা করছে তাদের আমরা চিহ্নিত করেছি ও চিহ্নিত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো। ’

তিনি বলেন, তথ্য আমাদের অধিকার। সঠিক তথ্য সঠিকভাবে যাচাই না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার বা আপলোড করা যাবে না। ইতোমধ্যে র‌্যাব সাইবার ক্রাইম সেল গঠন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আমরা সাইবার অপরাধীদের নজর রাখছি।

জনগণকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, গুজব বা মিথ্যে তথ্য একটি দিয়াশলাইয়ের মতো। দিয়াশলাই কাঠি যেমন মুহূর্তের মধ্যে বিশাল অগ্নিকাণ্ড ছড়াতে পারে ও সব ভষ্মীভূত করে দিতে পারে, তেমনি গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে।

‘কিছুদিন আগে ছোট ছোট স্কুলের ছেলে-মেয়েরা রাস্তায় নেমে এসেছিল। যদিও তারা একটি সঠিক কারণেই রাস্তায় নেমেছিল। কিন্তু সেটাকে গুজব রটিয়ে ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টা আমরা দেখেছি। ’

‘ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে আমরা অনেকদূর এগিয়ে গেছি। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের সবাই এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এর সুফলের সঙ্গে কুফল বা অপব্যবহারও করা হচ্ছে। অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে যোগাযোগ ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন ফলে বিশ্বে অভূতপূর্ব তথ্য-বিপ্লব সাধিত হয়েছে। এটি যেমন সমাজে তথ্যের গতিশীলতা তরান্বিত করেছে, তেমনি মিথ্যা তথ্য স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে। ’

কামাল বলেন, আমরা দেখেছি জলদস্যু, বনদস্যু, জঙ্গি নির্মূলে র‌্যাবের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। র‌্যাব জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। গুজব প্রতিরোধেও র‌্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, এখন সবার হাতে হাতেই স্মার্টফোন। সোশ্যাল মিডিয়া এমন হয়ে গেছে, যে লেখাপড়া জানে না সেও এটা ব্যবহার করছে। গুজব ছড়িয়ে রামুতে ভয়াবহ ঘটনা ঘটানো হয়েছে, ছাত্র আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বিপ্লবের আড়ালে একশ্রেণীর বিকারগ্রস্ত, অসুস্থ মানুষ ইন্টারনেটে অপপ্রচার করছে। বিশেষ করে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বিশৃঙ্খলা করার জন্য একশ্রেণীর মানুষ উঠে পড়ে লেগেছে। তারা মিথ্যা অপপ্রচার করে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। আমরা বিশ্বাস করি দেশবাসী এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবে না।

গুজব ছড়ানোর দায়ে র‌্যাব এ পর্যন্ত ১৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে আগামী নির্বাচনকে যেন কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে সেজন্য র‌্যাব সচেষ্ট রয়েছে। জনগণের সহায়তায় অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনসহ ঢাকায় র‌্যাবের সব ব্যাটালিয়নের প্রধান ও ঊর্ধ্বতনরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
পিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।