ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বান্দরবান থেকে ১ ঘণ্টায় রুমা!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৮
বান্দরবান থেকে ১ ঘণ্টায় রুমা! রুমার একটি জনপদ। ছবি-বাংলানিউজ

বান্দরবান: বান্দরবান থেকে এক ঘণ্টায় রুমা! ব্যাপারটা বিস্মিত হওয়ার মতোই। যেখানে বান্দরবান সদর থেকে সড়ক পথে রুমা উপজেলায় যেতে সময় লাগে প্রায় চার ঘণ্টা।

সেখানে একটি সড়ক নির্মিত হলেই মাত্র এক ঘণ্টায় রুমা উপজেলায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। তাহলে বান্দরবানের পর্যটন, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ স্থানীয়দের জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত হবে।

শিগগিরই ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে জেলার রোয়াংছড়ি-রুমা সড়ক। এতে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া থেকেও পরিত্রাণ পাবে স্থানীয়রা।  
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পাহাড়-পর্বত এবং বৈচিত্র্যময় অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ রুমা উপজেলা। তাজিংডং, কেউক্রাডং, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২শ' ফুট উঁচুতে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট বগালেক এবং রিজুক ঝরনা এ উপজেলায় অবস্থিত। দুর্গম পাহাড়ি পথ আর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে দেশের সাধারণ জনগোষ্ঠীর জন্য রুমার সব জায়গায় যাতায়াত কষ্টসাধ্য। এতে পর্যটকদের যাতায়াত ও স্থানীয়দের ব্যবসা বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।  

রুমা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মারমা বাংলানিউজকে জানান, রোয়াংছড়ি-রুমা সড়ক নির্মিত হলে বান্দরবানের উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। এ সড়ক নির্মিত হলে পাহাড়ে উৎপাদিত কৃষিপণ্য সহজে জেলাসহ বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা যাবে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে স্থানীয় অর্থনীতিতে। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পর্যটনের প্রসার ঘটবে। তাছাড়া প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে স্থানীয়দের কষ্টের সীমা থাকে না। এ দুর্ভোগও লাঘব হবে।  রুমার একটি জনপদ।  ছবি-বাংলানিউজ

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ বাংলানিউজকে জানান, রোয়াংছড়ি-রুমা সড়ক নির্মাণ কাজের প্রক্রিয়া চলছে। গত ৮ অক্টোবর পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল ৪৮ কোটি টাকার এ প্রকল্পের অনুমোদন দেন। ২০২২ সালের মধ্যে সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।  

রুমা উপজেলার আয়তন ৪৯২.১০ বর্গকিলোমিটার। উপজেলার চারটি ইউনিয়নে মোট জনসংখ্যা ৩০ হাজার ২০৯। এ উপজেলায় মারমা, চাকমা, ত্রিপুরাসহ মোট ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।