ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘রাষ্ট্রের তিন বিভাগের সমন্বিত প্রয়াস দরকার’

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৮
‘রাষ্ট্রের তিন বিভাগের সমন্বিত প্রয়াস দরকার’ বক্তব্য রাখছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: জাতির বৃহত্তর স্বার্থে রাষ্ট্রের আইন, শাসন ও বিচার বিভাগের মধ্যে সমন্বিত প্রয়াস দরকার বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

তিনি বলেন, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন ও সামগ্রিক উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করতে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের সমন্বিত প্রয়াসের কোনো বিকল্প নেই।
 
শুক্রবার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে (কাজী মোতাহার হোসেন ভবন) এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

বাংলাদেশ আইন সমিতি ৩৩তম বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনা ও সভাপতি মো. কামরুজ্জামান আনসারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
 
প্রধান বিচারপতি বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় বিচার বিভাগের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান। ওই সংবিধানে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ; আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনটি অঙ্গের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনকে সুসংহত ও বিকশিত করার ক্ষেত্রে অপরিহার্য।
 
বিচারক ও আইনজীবীদের সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিচারক, আইনজীবী ও আইনের শিক্ষার্থীদের রয়েছে অনন্য ভূমিকা। একটি দেশের সরকারের কৃতিত্ব পরিমাপ করার সর্বোত্তম মাপকাঠি হচ্ছে তার বিচার বিভাগের দক্ষতা ও যোগ্যতা। আইন পেশা আন্তর্জাতিকভাবে একটি মহান পেশা হিসেবে স্বীকৃত, একজন আইনজীবী শুধু আইনের উপর দখল থাকলে চলবে না, পেশাগত আচার-আচরণে সুন্দর হতে হবে। তাকে অবশ্যই সৎ থাকতে হবে এবং উচ্চ নৈতিক মূল্যবোধ বজায় রাখতে হবে। কেননা বিচার নিষ্পত্তির সঙ্গে এর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
 
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, এ বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিচার বিভাগসহ সব জায়গায় অবদান আছে। গণতন্ত্র সমৃদ্ধকরণে আইনের পেশার লোকদের অসাধারণ সুযোগ রয়েছে। আইনের শাসনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি চলমান গণতান্ত্রিক ধারা আরো সুদৃঢ়করণে আইনজীবীরা আরো ভূমিকা রাখবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
 
অনুষ্ঠান শেষে আইন সমিতির কার্যকরী কমিটি ২০১৯ সালের নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন একেএম আফজাল উল মুনীর। সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।