ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় ময়ূর নদীসহ ২২ খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯
খুলনায় ময়ূর নদীসহ ২২ খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদের দাবি সংবাদ সম্মেলন, ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনা মহানগরীর ময়ূর নদীসহ সংযুক্ত ২২ টি খালের সব অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছে।

সোমবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সংবাদ সম্মেলন এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মহাসচিব শেখ আশরাফ উজ জামান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, খুলনা মহানগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমান মেয়রের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রথম প্রতিশ্রুতি ছিল, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খুলনার ময়ূর নদীসহ সংযুক্ত ২২ টি খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ খুলনা মহানগরীকে পরিকল্পিত, পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলবেন। আমরা অনতিবিলম্বে এর বাস্তবায়ন চাই।  

এ প্রসঙ্গে মহাসচিব শেখ আশরাফ উজ জামান কয়েকটি দাবি উল্লেখ করেন। দাবিগুলো হলো- ময়ূর নদীসহ সংযুক্ত ২২ টি খালের সব অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ব্যবস্থা গ্রহণ ও বর্ষাকালীন সময় পাম্প হাউজের মাধ্যমে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা, খুলনা শহরে সব সরকারি-বেসরকারি পুকুর ও জলাশয় সংরক্ষণ, শহরের ফুটপাথ দখল মুক্ত করা,  শত বছরের পুরাতন বড় বাজারকে আধুনিকায়নের আওতায় আনা, রেলওয়ের অব্যবহৃত জমির পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করা, আধুনিক বাণিজ্য কেন্দ্র তৈরির লক্ষ্যে যানজট মুক্ত খুলনা নগরী গড়া, রূপসা ও ভৈরব নদীর তীর ঘেঁষে শহর রক্ষা বাঁধসহ পরিকল্পিত রিভারভিউ রোড ও দৃষ্টিনন্দন পার্ক নির্মাণ করা, খুলনা-জোড়াগেট-ফুলবাড়িগেট-শিরোমনি-ফুলতলা সড়ক ডিভাইডারসহ ৬ লেনে উন্নিতকরণ ও খুলনা রেলস্টেশন-পাওয়ার হাউজ মোড় থেকে (শের-এ-বাংলা রোড) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়-জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ডিভাইডারসহ ৪ লেনে উন্নিতকরণ প্রভৃতি দাবিগুলো বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

এ দাবি আদায়ের লক্ষে আজকের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আগামী ২১ জানুয়ারি সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি এবং পরে মেয়র বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া, আগামী ২২ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া, আগামী ২৩ জানুয়ারি বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন, শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মো. জাফর ইমাম, প্রকৌশলী আজাদুল হক, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব, সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেব আলী, উন্নয়ন কমিটির নেতা শাহিন জামাল পন, অধ্যাপক মো. আবুল বাসার, অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, মো. মনিরুজ্জামান রহিম, মো. রকিব উদ্দিন ফারাজী, এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, সামসুল কাদের মজনু, মো.  খলিলুর রহমান, জয়নার আবেদীন বাবলু, মো. ইদ্রিস আলী খান, নুরুজ্জামান খান বাচ্চু, মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী, অধ্যাপক মো. আজম খান, মো. কামাল হোসেন ও কাজী মিরাজ হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯
এমআরএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।