ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুবাইতে এনআইডি কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
দুবাইতে এনআইডি কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: প্রবাসী নাগরিকরা যে দেশে অবস্থান করবেন সেখানেই তাদের বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যেই আগামী ১৮ নভেম্বর দুবাইতে এনআইডি সরবরাহ কার্যক্রম শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাও এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থেকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বলে জানায় ইসি।  

ইসি কর্মকর্তারা জানান, সিইসির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব মো. আলমগীর, এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলামসহ মিড লেবেলের কর্মকর্তারাও থাকবেন।

এদিকে দুবাইতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটার কার্যক্রম উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি কামনা করে এরই মধ্যে একটি চিঠি দিয়েছে কমিশন। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে এখনও কোনো জবাব আসেনি।

ইসির এনআইডি উইংয়ের কমিউনিউকেশন শাখার অফিসার ইনচার্জ স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ওই সময় একটি সফরে দুবাইতে অবস্থান করবেন। তাই সেখানাকার কার্যক্রমটি উদ্বোধনের জন্য আমরা তার সানুগ্রহ অনুমতি কামনা করে চিঠি দিয়েছি। তিনি মৌখিক সম্মতি দিয়েছেন। তবে আনুষ্ঠানিক জবাব আমরা এখনো পাইনি।

জানা গেছে, একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুবাই যাবেন প্রধানমন্ত্রী। ফিরবেন ২০ নভেম্বর।

এর আগে গত ৫ নভেম্বর অনলাইনে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন করে নির্বাচন কমিশন।
 
সূত্রগুলো জানায়, আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে দুবাইতে এ কার্যক্রম শুরু হবে। এক্ষেত্রে মিড লেবেলের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি টিম দুবাইয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে ডেস্ক বসিয়ে কার্যক্রম চালাবেন। পাশপাশি অনলাইনেও আবেদন নেওয়া হবে। দুবাইয়ের পর সৌদি আরব, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাজ্যে বসবাসরতরাও সুযোগটি পাবেন।
 
এ বিষয়ে এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার সাইদুল ইসলাম বলেছেন, প্রবাসীরা আবেদন করার পর সেটা আমরা তার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠাবো। সেখান থেকে তদন্ত প্রতিবেদন আসলে, যোগ্য ব্যক্তির দশ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ নেওয়ার জন্য দূতাবাসে হেল্প ডেস্ক বসানো হবে। এরপর সেটা ইসি সার্ভারে নিয়ে স্মার্ট কার্ড ছাপিয়ে হেল্প ডেস্কের মাধ্যমেই আবার বিতরণ করা হবে।

আবেদনে যা লাগবে

এনআইডি মহাপরিচালক বলেন মোট ছয়টি ডকুমেন্ট দিতে হবে প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার জন্য। এগুলো হলো- পাসপোর্টের ফটোকপি, বিদেশি পাসপোর্টধারী হলে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের ফটোকপি বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে শনাক্তকারী একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকের পাসপোর্টের কপি, বাংলাদেশে বসবাসকারী রক্তের সম্পর্কের কোনো আত্মীয়ের নাম, মোবাইল নম্বর ও এনআইডি নম্বরসহ অঙ্গীকারনামা, বাংলাদেশে কোথাও ভোটার হয়নি মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা ও সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের প্রত্যয়নপত্র।

বিভিন্ন দেশে দেড় কোটির মতো বাংলাদেশের নাগরিক বসবাস করছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে।  

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে। এর ভিত্তিতেই পরবর্তীতে ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়, এবং গড়ে তোলা হয় এনআইডি তথ্যভাণ্ডার। বর্তমানে ৫০টিরও বেশি সংস্থা-প্রতিষ্ঠান এই তথ্যভাণ্ডার থেকে ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হচ্ছে। এতে অপরাধী চিহ্নিতকরণসহ বহুমুখী সমস্যা সমাধান সহজ হয়ে গেছে। এছাড়াও সহজেই মিলছে নাগরিক সেবা। ইসির সার্ভারে বর্তমানে ১০ কোটি ৪২ লাখ নাগরিকের তথ্য আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯ 
ইইউডি/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।