ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বিল উত্থাপিত

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বিল উত্থাপিত

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, ভোক্তা ও জনসাধারণের স্বার্থে ও ক্ষতিলাঘবের উদ্দেশ্যে গণশুনানির বিধান রেখে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আইন সংশোধন করে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন’ প্রতিষ্ঠার জন্য সংসদে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) বিল, ২০১৯ উত্থাপিত হয়েছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে এ বিলটি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির পক্ষে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন উপস্থাপন করেন। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৫ দিনের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বিলটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

এই বিলে দেশীয় পণ্য ও সেবা রপ্তানি বৃদ্ধিকল্পে দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণ ও বিকাশে শিল্পপণ্য উৎপাদন ও বিপণনে দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি এবং আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে তুলনামূলক সুবিধা নিরূপণ করবে। বিলটি আইনে পরিণত হলে এই আইনের অধীনে শুল্কনীতি পর্যলোচনা করে শুল্কহার নির্ধারণ, আর্ন্তজাতিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি, ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট ট্রেড, জিএসপি, রুলস অব অরিজিন ও  অগ্রাধিকার বাণিজ্য, শিল্প-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শুল্কনীতি প্রণয়ণ, অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের সম্ভ্যাবতা যাচাই, ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, ভোক্তা ও জনসাধারণের স্বার্থে বিবেচনা করে ক্ষতিলাঘবের উদ্দেশ্যে গণশুনানির পদক্ষেপ চিহ্নিত করা, দেশীয় শিল্প বাণিজ্যের স্বার্থ রক্ষায় গবেষণা বা সমীক্ষা পরিচালনা করা হবে।

বিলে বিদ্যমান আইনের ৭ ধারায় উল্লেখিত বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন শব্দগুলোর পরিবর্তে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন শব্দগুলো প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়।

এ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭৩ সালের ২৮ জুলাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে তার সরকারের আমলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফরেন ট্রেড ডিভিশনের রেজুল্যুশনেবলে একটি সম্পূর্ণ সরকারি দপ্তর হিসাবে ট্যারিফ কমিশন প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। পরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের কাজের ধারাও পরিবর্তিত হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সময় ও কাজের পরিধি বিবেচনায় প্রস্তাবিত আইন সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সে কারণে ১৯৯২ সালের বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আইনের অধিকতর সংশোধনের জন্য এই বিল উপস্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এসকে/এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।