ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধে এখনো সিন্ধান্ত হয়নি: ড. মোমেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধে এখনো সিন্ধান্ত হয়নি: ড. মোমেন

ঢাকা: সৌদি আরবে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করতে এখনো কোনো সিন্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত ‘ইমপ্লিমেন্টেশন অব সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) ইন বাংলাদেশ: কারেন্ট স্ট্যাটাস অ্যান্ড ফিউচার প্রসপেক্টাস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছয় লাখ নারী শ্রমিক কাজ করছেন।

তাদের ফেরত আনলে অথবা নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে দিলেই সমস্যার সমাধান হবে না। আমরা নারী-পুরুষকে সমান দৃষ্টিতে দেখি। এত বিশাল সংখ্যক নারী দেশে এসে কী করবে?

তিনি বলেন, সৌদিতে নারী শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হটলাইন ও নিরাপত্তা সেল গঠন করা হয়েছে। সেখানে একটি টিম কাজ করছে। এতে নারী শ্রমিকরা উপকৃত হবে।

বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক’র অভিভাসন কর্মসূচির এক পরিসংখ্যান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজ করতে গিয়ে গত চার বছরে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নির্যাতনের কারণেই যে সবার মৃত্যু হয়েছে তা বলা যাবেনা। স্বাভাবিক মৃত্যুও হতে পারে।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) বিচারিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নির্মম নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। দায়ীদের বিচারের আওতায় আনলে বাংলাদেশের জন্যই মঙ্গল।

আব্দুল মোমেন বলেন, দেশে সরকারি-বেসরকারি-আধাসরকারি এবং এনজিও, সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করছে এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য। এমন নজির পৃথিবী কোথাও নেই।

এই সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগান সম্পর্কে বলতে গিয়ে টাকার বিভিন্ন উৎসের কথা বর্ণনা করেন।

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ডা. কাজি খালীকুজ্জমান আহমদ এবং প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এসডিজি বিষয়ক) মো. মোকাম্মেল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বিশ্বব্যাংকের উইং চিফ সুলতানা আফরোজ। সেমিনারে আলোচনা করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) প্রফেশনাল ফেলো ড. এম আসাদুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কাউকে পেছনে ফেলে এসডিজির মূল মন্ত্র বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এসডিজি বাস্তবায়নে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। এই অর্থ যোগানের জন্য পোশাকশিল্পের বাইরে ওষুধশিল্প, চামড়াশিল্প ও কৃষি খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশে রপ্তানির ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
পিএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।