ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীবাসীকে নতুন ঢাকা উপহার দেবো: সাঈদ খোকন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
রাজধানীবাসীকে নতুন ঢাকা উপহার দেবো: সাঈদ খোকন 

ঢাকা: রাজধানীবাসীকে নতুন ঢাকা উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, হাতে হাত মিলিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই শহরকে বদলে দেবো। নতুন ঢাকা উপহার দেবো আপনাদের ও নতুন প্রজন্মকে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে লালবাগ এলাকায় ‘আব্দুল আলিম’ খেলার মাঠের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র।  

সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকাবাসী আর আমরা সবাই মিলে ঢাকাকে বদলে দিতে চাই।

আমাদের জন্য ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখব।  

লালবাগবাসীদের উদ্দেশ্য করে মেয়র বলেন, আজ আপনাদের খুশির দিন, খেলার মাঠ পেয়েছেন, মাঠে ছোট ছোট বাচ্চারা খেলাধুলা করবে। মাঠের পাশে ওয়াকওয়ে করে দেওয়া হয়েছে। ওয়াকওয়ে দিয়ে মুরুব্বি, মা-বোন ও যুবকেরা হাঁটাচলা করতে পারবে। স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সকালে-বিকালে হাঁটা-চলা করতে পারবে। যদি বৃষ্টি হয়, এই বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য মাঠের মধ্যে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই পানি ফিল্টার করে মসজিদ ও পার্শ্ববর্তী ভবনে ব্যবহার করার বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে।  

‘রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ের মধ্য দিয়ে আমরা এই পানি পান করার উপযোগী করে তুলছি। যাতে করে আশপাশের মানুষ এই পানি পান করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুরুব্বি ও যুবক ভাই-বোনরা যদি চা-কফি খেতে চান, এর জন্য কফি হাউজ করা হয়েছে। যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তাদের জন্য জিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা অলস দুপুরে একটু বই পড়তে চান, তাদের জন্য লাইব্রেরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে বছরে দুইবার ঈদের নামাজ পড়ার সমস্ত ব্যবস্থাও করা রয়েছে। শুধুমাত্র জাতীয় পর্যায়ের নয়,  আন্তর্জাতিক মানের মাঠ হিসেবে এ মাঠ আপনাদের উপহার দিলাম। ’ 

‘এই মাঠ একসময় ডোবা ছিল। এটা ভরাট করা হয়েছে। কেউ এটাকে বালুর মাঠ, আজাদ মাঠ ও ঢাকেশ্বরী মাঠ বলতো। আমার প্রয়াত পিতা সাবেক কাউন্সিলর হাজী আব্দুল আলীমের নামে এ তার নামে এই মাঠটির নামকরণ করে গেছেন। আমার হাত দিয়ে এবং যে জনগণ এখানে উপস্থিত রয়েছেন, তাদের হাত দিয়ে বিশ্বমানের এ মাঠ এলাকাবাসীকে উপহার দিলাম। যে খেলার মাঠটি করলাম, তা শুধুমাত্র লালবাগের জন্য নয়। পুরান ঢাকার মানুষের জন্য আমরা এরকম আরো ১২টি মাঠ উপহার দেবো। ’

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার প্রশংসা করে সাঈদ খোকন আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের বাৎসরিক আয় ৪শ’ কোটি টাকা। কোনো কোনো সময় তার বেশি খরচ হয়ে যায়। কিন্তু তাই বলে কোনো প্রকল্প থেমে নেই। সবকিছুর কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার। এখন চুরি-ছিনতাই কমে গেছে। সবকিছু সম্ভব হয়েছে একমাত্র শেখ হাসিনার কারণে। আমি যখনই এই শহরের মানুষের জন্য কোনো প্রকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেছি, তিনি সঙ্গে সঙ্গে তা পাস করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তোমার যা যা দরকার ঢাকার মানুষের জন্য আমি ব্যবস্থা করে দেবো। তুমি এগিয়ে যাও। সমস্ত কৃতিত্ব আল্লাহ রব্বুল আলামীনের। আমরা সবাই মিলে ঢাকাকে বদলে দিতে চাই। ’

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন- দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মানিক।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯
এমএমআই/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।