ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফেনীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নিজাম হাজারী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
ফেনীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নিজাম হাজারী 

ফেনী: ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছি। সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমি তাদের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করবো। 

শনিবার দুপুরে ফেনী শহরের ফুড ল্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ৭১-এর ৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নিজাম হাজারী। ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।

 

ফেনীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে নিজাম হাজারী বলেন, আপনাদের তেজোদীপ্ত নেতৃত্বের কারণে দেশ শক্রমুক্ত হওয়ার ১০ দিন আগেই ফেনীকে মুক্ত হয়েছিল। গৌরবময় ভূমিকার জন্য আপনারা অনন্তকাল শ্রদ্ধা ও সম্মানের আসনে থাকবেন। তাই বাঁচতে হলে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে বাঁচবো, মরতে হলে একসাথে জীবন দিবো। কখনো আপনাদের ছেড়ে ও নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য ফেনী ছেড়ে যাবো না।  

এ সংসদ সদস্য আরও বলেন, আমি গরীব ও অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিজয় দিবসে অনুদানপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করবো। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আমার দরজা খোলা থাকবে। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই। কিন্তু কোনো অপশক্তি আমাদের বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। ষড়যন্ত্র করলে আপনাদের দোয়ায় আমি আরও এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।  

সভায় মুক্তিযোদ্ধদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের সাব সেক্টর কমান্ডার জাফর ইমাম বীর বিক্রমের নামে ফেনীর একটি রাস্তা ও স্কুল ভবনের নামকরণ ও আসন্ন ৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত দিবসে তাকে প্রধান অতিথি করার ঘোষণা দেন নিজাম হাজারী। এছাড়া ফুলগাজীর দরিদ্র ও অস্বচ্ছল এক মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসার জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা দেন তিনি।  

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আকরামুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীলের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আবদুর রহমান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল মোতালেব, সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার নুরুল আফসার, পরশুরাম উপজেলার সাবেক কমান্ডার শাহরিয়ার কবির, দাগনভূঞা উপজেলার সাবেক কমান্ডার শরিয়ত উল্লাহ বাঙ্গালী, ফুলগাজী উপজেলার সাবেক কমান্ডার আবুল বাশার, ছাগলনাইয়া উপজেলার সাবেক কমান্ডার ইউসুফ চৌধুরী, সোনাগাজী উপজেলার সাবেক কমান্ডার নাসির উদ্দিন, ফুলগাজী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ বাহার প্রমুখ। এছাড়া সভায় ৬ উপজেলার ডেপুটি কমান্ডারসহ মুক্তিযোদ্ধারা অংশগ্রহণ করেন। ছিলেন ৬ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক।  



বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
এসএইচডি/এইচজে 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।