ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আগের চেয়ে অনেক উন্নত পার্বত্য অঞ্চল: গওহর রিজভী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৯
আগের চেয়ে অনেক উন্নত পার্বত্য অঞ্চল: গওহর রিজভী

ঢাকা: বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। সেখানকার মানুষ আগের চেয়ে বেশি উন্নয়নের সুফল ভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। 

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মাঠে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘পার্বত্য মেলা’র উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন গওহর রিজভী। পঞ্চমবারের মতো চারদিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

 

গওহর রিজভী বলেন, আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে দেশের পার্বত্য অঞ্চল। সেখানকার মানুষেরা আগের চেয়ে বেশি উন্নয়নের সুফল ভোগ করছেন। এসবের বাইরে এ অঞ্চলে এখনও নানা ধরনের সমস্যা বিদ্যমান। বিশেষ করে ভূমি বিষয়ে। এ সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে পার্বত্য এলাকা আরও বেশি উন্নত হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, পাহাড়ি ও সমতলের বাঙালিদের সমন্বয়ে এ পার্বত্য মেলা সংস্কৃতির এক মিলনক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। একটা সময় ছিল পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পারতো না। বিকেলের পর তারা ঘর থেকেই বের হতে পারতো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে সেই পার্বত্য এলাকায় এখন শান্তি বিরাজ করছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- রাঙামাটির সংসদ সদস্য দিপংকর তালুকদার, খাগড়িছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে পরিবেশন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শুরুতেই ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ গানটি গেয়ে শোনান কয়েল চাকমা। এরপর পরিবেশিত হয় চাকমাদের জুম নৃত্য। পরে ‘গেংকুলী’ ও ‘চেংগে মেইনি কাচালাং’ গেয়ে শোনান কয়েল চাকমা, পার্কি চাকমা গেয়ে শোনান ‘হোচপানা হারে হয়’, তিশা দেওয়ান গেয়ে শোনান ‘মেঘ চাপা উড়ি যাদন’, জুনাকি ত্রিপুরা কণ্ঠে শোনা যায় ত্রিপুরার গান ‘মাইসা খানু মাই খাং’, বাপ্পী দেওয়ান গেয়ে শোনান ‘ও মোর সোনার দেশচান’।

ছিল দলীয় নৃত্য পরিবেশনা। একে একে পরিবেশিত হয় ‘হিল্লো মিলোবী’ গানের সঙ্গে চাকমাদের জুম নৃত্য, ‘সাংগ্লাই মা লা লা’ গানের সঙ্গে মারমাদের ছাতা নৃত্য, ‘এক বছর পর ও বিঝু’ গানের সঙ্গে তঞ্চংগ্যা নৃত্য, ত্রিপুরাদের বাতল নৃত্য ও রাখাইনদের প্রদীপ নৃত্য। রাঙামাটির পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত সখর সম্প্রদায়ের শিল্পীদের সমন্বয়ে সম্প্রীতি নৃত্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম দিনের সাংস্কৃতিক আয়োজন।

মেলায় শতাধিক স্টলে পসরা বসেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, জুম কৃষিপণ্য, ফল-ফলাদি ও পাহাড়ি বিভিন্ন খাবারের। আছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার স্টলও।  

এ মেলা শেষ হবে আগামী রোববার (৮ ডিসেম্বর)। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯
ডিএন/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।