ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার-নিরাপত্তা দাবি অক্সফামের

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার-নিরাপত্তা দাবি অক্সফামের অক্সফ্যামের হিউম্যানি টারিয়ান ক্যাম্পেইন প্রধান ফিয়োনা স্মিথ

ঢাকা: জেনোসাইড কনভেনশন ১৯৪৮ (গণহত্যা কনভেনশন) ভঙ্গ করায় আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে গাম্বিয়ার তোলা অভিযোগের বিপক্ষে মিয়ানমার সরকারের বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে অক্সফাম। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে অক্সফাম এ দাবি জানায়।

অক্সফ্যামের হিউম্যানি টারিয়ান ক্যাম্পেইন প্রধান ফিয়োনা স্মিথ বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত সব নৃ-জাতিগোষ্ঠি সম্প্রদায়গুলো তাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর চালানো সহিংসতার বর্ণনা দিয়েছে।

 

এদের মধ্যে পরিস্থিতি বিবেচনায় মিয়ানমারে সবচেয়ে শোচনীয় এবং দূর্বিষহ জীবন যাপন করছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি- যাদের বিভিন্ন কাঁটাতারে ঘেরা অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। এসব ক্যাম্পের চারপাশে রয়েছে প্রচুর সেনা চৌকি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওই ক্যাম্পগুলোতে বসবাসরত রোহিঙ্গারা তাদের অসুস্থ সন্তানদের হাসপাতালে বা স্কুলে নিয়ে যেতে পারছে না। এমনকি তারা জীবিকার জন্য মাছ ধরা ও তা বাজারে বিক্রি করার সুযোগও পায় না।

তিনি বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানাচ্ছি। রাখাইন রাজ্যে অনতিবিলম্বে চলমান সহিংসতা বন্ধে সব ধরনের কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারেও জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের পাশে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই।  

কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগণ যাতে আন্তর্জাতিক আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারে, সে বিষয়ে ক্যাম্পগুলোতে ইন্টারনেট সেবার উপরে বিধি-নিষেধ শিথিল করায় বাংলাদেশ সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছে অক্সফ্যাম। পাশাপাশি এ সংযোগ অব্যাহত রাখার ব্যাপারেও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। যাতে ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গারা তাদের জীবন ও ভবিষ্যত নিয়ে বিশ্বব্যাপী যেসব কার্যক্রম সংঘটিত হচ্ছে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
টিআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।