ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী সৌধে জনতার ঢল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী সৌধে জনতার ঢল

ঢাকা: বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার হাজার হাজার জনতার ঢল নেমেছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে জনতার এ ঢল নামে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এদিন সকাল ৭টা ১ মিনিটে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এসময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।

শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করে তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনী প্রধান, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সন্তানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন।

মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল।  ছবি: জিএম মুজিবুর

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সরকার প্রধান হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবেও দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ সমাধিতে ফুল দিয়ে পুনরায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সন্তানদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের পর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া।

এরপর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সন্তান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকা ছেড়ে গেলে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সেটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এসময় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে।

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন ছাড়াও সর্ব সাধারণ জনতার পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

১৯৭১ সালের এই দিনে বর্বর পাকিস্তানি হানাদাররা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ছাড়াও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতেও শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
এমইউএম/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।